একদা তাঁর নামে বাঘে–হরিণে এক ঘাটে জল খেত। একটা পাতা খসলেও তাঁর কানে আ𒊎গে খবর যেত। গোটা জেলায় তিনি ছিলেন থরহরিকম্প। এখন গরুপাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি। আর তার পর থেকেই সাজানো সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করেছে বীরভূমে। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। আর এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলের নামই তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে মুছে গেল। ছবিত🐈ে পড়ল সাদা রং। তাও আবার দলেরই কার্যালয়ের দেওয়ালে। ছবিতে আসলে চুন পড়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে নানুরে অঞ্চল তৃ🔯ণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নাম–ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নানুরের হোসেনপুর তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে অনেকেই দেখলেন, সেখান থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম এবং ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। দেখে সবাই বুঝতে পারছেন, এখানে এক সময় অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ঠিকই। তবে এখন তাতে সাদা রং করে দেওয়া হয়েছে। নানুরের হোসেনপুরের এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেছেন নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য।
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল প্রায় এক বছর ধরে তিহার জেলে বন্দি হয়ে রয়েছেন। বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে ভিড় দেখা যেত আজ তা অতীত। তাঁর অনুরাগীরাও আজ দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন বীরভূম জেলা কার্যালয় থেকে। এখন বীরভূম জেলা সভাধিপ🔯তি কাজল শেখের গড়ে অনুব্রত মণ্ডল শুধুই ব্রাত্য। একের পর এক ছবি দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এভাবে কি কেষ্টকে ছেঁটে ফেলা শুরু হল? প্রশ্🦩ন উঠছে। কারণ হোসেনপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দেওয়ালে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা, আর একদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। সেই অনুব্রতর ছবির উপর চুন লেপে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাল নথির সাহায্যে এমবিবিএস কোর্সে ভরꦆ্তি, তিনজনকে গ্রে⛄ফতার করে চক্রের পর্দাফাঁস পুলিশের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন দেখা যায় ছবিতে চুন লেপে দেওয়া হলেও তলার লেখাটি মোছা হয়নি। যেখানে লেখা আছে অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ। এই বিষয়ে নানুরের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা সঠিকভাবে আমি জানি না। তবে এমনও হতে পারে দুর্গাপুজোর আগে হয়ত দেওয়াল নতুন করে রং করা চলছে। হয়ত ছবি মুছে নতুন করে ছবি আঁকা হ෴বে। আমি খোঁজ নিয়ে বলব। দলীয় স্তরে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’ নানুর কাজল শেখের গড়। তাই তাঁর জমানায় এভাবে ব্রাত্য থাকলেন কেষ্ট! অবাক সবাই।