বগটুই গণহত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন রাজ্যজুড়ে অবৈধ অস্ত্র কারখানা বন্ধ করতে হবে। কড়া পদক্ষেপ করতে হবে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার ফের সফল হল বারুইপুর পুলিশ। সুন্দরবনে নদীর ধারে মাটির দেওয়াল এবং টিনের ছাউনি ♚দেওয়া একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এই বাড়িটি মহিউদ্দিন সর্দারের। সেখানে বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়ে মহিউদ্দীন।
ঠিক কী ঘটেছে কুলতলিতে? পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা ফেঁদেছিল দুষ্কৃতীরা। গত বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হানা দেয় বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং কুলতলি থানার পুলিশ। কুলতলি এলাকার আন🦄্ধেরিয়া গ্রামে অস্ত্র কারখানা ফেঁদেছিল দুষ্কৃতীরা। আগে মহিউদ্দিন সর্দܫার পোলট্রি ফার্ম চালাত বাড়িতেই। ৬ মাস আগে থেকে এই কারখানা সে গোপনে চালু করে। যা এল প্রকাশ্যে।
কী কী অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে? পুলিশের হানায় ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আটটি♏ ফিনিশড ওয়ান শুটার পাইপগান, তিনটি লং পাইপগান, ছটি অফ স্প্রিং, এক𝐆টি হ্যান্ড ড্রিল মেশিন, একটি হ্যান্ড ভাইস মেশিন, একটি হ্যান্ড পলিশ মেশিন, দুটি হাতুড়ি, একটি আয়রন প্লাস, তিনটি লোহার ফাইল, দুটি হেক্সা ব্লেড, আলিঙ্গন ওয়েল্ডিং লাঠি, বিশাল আয়রন রিপিট।
কার কাছে অস্ত্র তৈরি শেখা মহিউদ্দিনের? কোথায় অস্ত্র ব🌞িক্রি করা হতো? এসব জানবার জন্য আসামীকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে। বেআইনি অস্ত্র কারখানা চালানোর জন্য গ্র🐻েফতার করা হয়েছে মহিউদ্দিন সর্দারকে। ধৃত ব্যক্তি আগেই খুনের মামলায় জেল খেটেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মূলত কলকাতা থেকে কাঁচামাল কিনে কুলতলিতে অস্ত্র বানানো হত।