বিষধর সাপদের মেরে সেই বিষ পাচার করার চক্র সক্রিয় রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সাপের বিষ পাচারের ক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য পাচার🐼চক্র জড়িয়ে আছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তাই পুলিশ সজাগ দৃষ্টিতে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত পাচারকারীদের ধরতে নানা কৌশল নিচ্ছিল। এই আবহে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাঝরাতে আসানসোলের কুলটি থানা এলাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সাপের বিষ বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার তাদের জেরা করেই মাথাদের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ ও বন দফতর।
এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাপের বিষ–সহ গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন যুবক পাচারকারীকে। এই কাজ তারা অনেকদিন ধরে করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এবার আসানসোল রেঞ্জ আধিকারিকের কাছে খবর আসে চিন🐓াকুড়ি রুট দিয়ে একটি গাড়ি যাচ্ছে। যার মধ্যে বহুমূল্যের সাপের বিষ রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাপের বিষ–সহ চারজনকে গ্রেফতার করে আসানসোলের বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস। এই অভিযুক্তরা আন্তঃরাজ্য সাপের বিষের যে পাচারচক্র রয়েছে তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে বলে মনে করছে বন দফতরের অধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দু’টি কন্টেনার ভর্তি সাপের বিষ।
অন্যদিকে গোপন সূত্রের তথ্য নিয়েই নির্দিষ্ট সꦺ্থানে আগে থেকে ঘাপটি মেরে বসে থাকেন অফিসাররা। রাত দেড়টা নাগাদ ওই সাপের বিষ নিয়ে গ🌱াড়িটি সংশ্লিষ্ট রাস্তায় চাকা গড়াতেই পথ রুখে দাঁড়ান পুলিশ ও বনকর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে চম্পট দিতে চায় তারা। কিন্তু পুলিশের ঘেরাটোপ থেকে বেরতে না পেরে বমাল ধরে পড়ে যায়। তখনই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুই কন্টেনার ভর্তি সাপের বিষ। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বন দফতরের কর্মীদের। তল্লাশি শুরু হয় অন্যান্য জায়গায়। আর বমাল গ্রেফতার করা হয় পাচারকারীদের। বাজেয়াপ্ত করা হয় কন্টেনারে থাকা সাপের বিষ।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণের রাতে তিলোত্তমার আকাশে উড়বে ড্রোন, 🎃শহরে🌊 নামছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ
এছাড়া গাড়ি–সহ সাপের বিষ এবং গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তদের কুলটি থানার শাকতোড়িয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্তদের আজ, শুক্রবার আদালতে তোলা হচ্ছে। তবে অভিযুক্তরা গাড়ি🍌তে করে সাপের বিষ পাচারের উদ্দেশ্যে 🦩নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আর আসানসোল বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার সুজয় পতি জানিয়েছেন, লক্ষাধিক টাকার এই সাপের বিষ আন্তর্জাতিক বাজারে পাচার করার জন্য নিয়ে অভিযুক্তরা নিয়ে যাচ্ছিল। ধৃতদের জেরা করে পাচার চক্রের বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ।