সম্প্রতি বার্ড ফ্লু ধরা পড়েছে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে। এরপরে পশ্চিম সীমানা দিয়ে কোনও মুরগি যাতে অসমে প্রবেশ না করে তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অসম সরকার। আর ত𝔉ার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি মুরগির ক্ষেত্রে অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের উপর নির্ভরশীল। উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর সংখ্যায় পোল্ট্রি রফতানি করা হয় অসমে। তবে অসম সরকার মুরগি ঢুকতে না দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে বিপাকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। অসমে যাতে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পশ্চিমের রাজ্যগুলি থেকে আপাতত মুরগি আমদানি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেই রাজ্যের সরকার।
জানা গিয়েছে, গত ৬ মার্চ অসম সরকারে🐈র পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি জানিয়েছেন, বার্ড ফ্লু ধরা পড়েছে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও বার্ড ফ্লু ধরা পড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উত্তরবঙ্গের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। এখানকার মুরগি অসমে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অসম সরকারের এই সি𝄹দ্ধান্তকে নিয়ম বিরোধী বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বার্ড ফ্লু সংক্রান্ত কেন্দ্রের যে নিয়ম রয়েছে তাতে রাজ্য সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে ন♑া। তাই কেন্দ্রের কাছে আমরা এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। অসম সরকার তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’
অসম সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এ রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা। তাদের বক্তব্য, বার্ড ফ্লু সংক্রান্ত কেন্দ্রের𒈔 যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম মানেনি ꧅অসম সরকার। কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র মুরগি নেওয়া বন্ধ করেছে, অথচ মুরগির ছানা, ডিম, মুরগির খাদ্য প্রভৃতি অসমে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। তাদের বক্তব্য, অসম সরকারের এমন সিদ্ধান্ত হাস্যকর। এর কোনও মানে হয় না।