রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নিয়েই এখন ব্যস্ত গোটা বাংলা। আর তখনই চলে এল কেন্দ্রীয় স💙রকারের পুরষ্কার। এ𒅌বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার এক হাসপাতালকেই সেরার তকমা দিয়ে বসল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এমন পুরষ্কার দেওয়ায় চাপে পড়ে গেল বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে গুণগত মানের নিরিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেরার তকমা পেল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। এখানের সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যিনি রোজ গালিগালাজ করেন রাজ্য সরকারকে। আর তাঁদের সরকারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজকে স্বীকৃতি দিল। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
এই প্রথম রাজ্যের কোনও হাসপাতাল একসঙ্গে তিনটি প্রকল্পে পাশ করল। হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম পরিদর্শনের পরেই এই পুরষ্কার হাতে এসেছে। এমনকী আগামী তিন বছরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালকে ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।ཧ আগেও এই হাসপাতাল কায়া প্রকল্পে সেরার শিরোপা পেয়েছিল। এবারও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক পুরষ্কার ঘোষণা করতেই হাসপাতালে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর এই পুরষ্কার পেয়েই জেলা স্বাস্থ্যদফতরও পরিষেবা আরও ভাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একটা বড় সাফল্য চলে এল।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মে মাসে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেছিল। তিনদিন ধরে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ ঘুরে দেখেন তাঁরা। রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। তারপর রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এনকিউএএস প্রকল্পে হাসপাতালের সব বিভাগের চিকিৎসা পরি𓂃ষেবার পরিকাঠামো, গুণমান যাচাই করা হয়। লক্ষ্য প্রকল্পে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ খতিয়ে দেখা হয় এবং মুসকান প্রকল্পে শিশু বিভাগ নিয়ে সরেজমিনে দেখা হয়। এরপর সব বিষয় খতিয়ে দেখে নম্বর দেয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। সেই রিপোর্টের পর বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল তিনটি প্রকল্পে যথাক্রমে ৯৬, ৯৪ এবং ৯৩ শতাংশ নম্বর পায়। যা বিরাট সাফল্য।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের একদিন আগে﷽ও আদালতে শুভেন্দু, নালিশ কমিশনের বিরুদ্ꦅধে
ঠিক কে, 🎐কী বলছেন? এই সাফল্য মেলার পর সবাই আপ্লুত। আর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, ‘রাজ্যে এই প্রথম কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তিনটি প্রকল্পেই সেরা হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। ওই তিন প্রকল্পে হাসপাতালের প্রসূতি, শিশু, ইমারজেন্সি–সহ ১৬টি বিভাগের গুণগত মান দেখে সার্টিফিকেট দিয়েছে। আগে কোনও হাসপাতাল একত্রে এতগুলি সার্টিফিকেট পায়নি। এটা আমাদের বড় সাফল্য।’ তবে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষেন্দু বিকাশ বাগের কথায়, ‘এখন হাসপাতাল অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে। তবে এই সম্মান ধরে রাখতে হবে। মানুষের অভিযোগ নির্মুল করে ১০০ শতাংশ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।’