পশ্চিমবঙ্গে আমূলের সব সামগ্রী নিষিদ্ধ করার দাবি তুলল বাংলা পক্ষ। একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের আমূলের মিষ্টি দই খাওয়ার পরে পূর্ব বর্ধমান🍌ের দুটি ব্লকে শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার পরই বাংলা পক্ষের তরফে সেই দাবি তোলা হয়েছে। বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বাংলায় আমূলের সামগ্রী বয়কটের ডাক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সংবাদমাধ্যম খবর করেছে যে কতটা পচা এবং অস্বাস্থ্যকর মানের জিনিস প্যাকেজজাত করা হয়েছে যে অসংখ্য মানুষ তৎক্ষণাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। আমূলের ক্ষতিকারক সামগ্রীর বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।’
একইসুরে পশ্চিমবঙ্গে আমূলের সমস্ত সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি তুলেছেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি। তিনি বলেন, ‘আমূলের মিষ্টি দই খেয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বাঙালি অসুস্থ। আমূলকে বাংলার মাটিতে চিরতরে ব্🅷যান করতে হবে।’ সেই বিষয়টি নিয়ে আপাতত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কোনও মন্তব্য করেনি আমূলও।
তবে আমূলের সব মিষ্টি দইয়ের ক্ষেত্রে সেরকম বিপত্তি ঘটেনি। একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের মিষ্ট দই খেয়ꦏেই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ ব্লক এবং মেমারির ব্লকে আচমকা প্রায় ১৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যেকের একই উপসর্গ ছিল। পেটব্যথার সঙ্গে বমি হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে অনেককে হাসপাতালেও ভরতি করা হয়।
আরও পড়ুন: South Vs North: বিজেপি এখন হিন্দি জনতা পার্টি, লিখলেন বাংলা পক্ষের গর𝕴্গ, TMC কী? জবাব দিল নেটপাড়া
একইসঙ্গে দুটি ব্লকের এত সংখ্যক মানুষ কেন একইসঙ্গে পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে জেলা প্রশাসন। পাঠানো হয় বিশেষ মেডিক্যাল দল। পরবর্তীতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের দুটি ব্লক থেকে 'ফুড পয়জেনিং' বা খাদ্🐬যে বিষক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়। দুটি ক্ষেত্রে 'কমন ফ্যাক্টর' হিসেবে 'কেপিভি৩৬৫৩' ব্যাচের আমূল মিষ্টি দইয়ের যোগসূত্র পাওয়া যায়। যা তৈরি করেছে বাঁকুড়ার ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্টস লিমিটেড।
তারপরই তড়িঘড়ি মিষ্টি দইয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে একটি ব্যাকটেরিয়ায় সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে 'কেপিভি৩৬৫৩' ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কোথাও যদি ওই ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই বিক্রি করা হয়, তাহলে কড়া ব্যবꦺস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।