ভোটে প্রার্থী করার সময় থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তাঁর শারীরিক সুস্থতা নিয়ে। উদ্বেগ সত্যি করে প্রয়াত হলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে বিজেপি প্রার্থী রেখ🔯া পাত্রকে হারিয়ে বসিরহাট থেকে বিপুল জয় পেয়েছিলেন যিনি। সাংসদের প🥀্রয়াণে বসিরহাটে উপনির্বাচন অবধারিত হয়ে উঠল।
আরও পড়ুন - 'বাঁধ কেটে গ্রামে জল ঢ▨ুকিয়েছে TMC, বাঁধ মেরামতির ৪০ কোটি হজম করেছে তারা '
পড়তে থাকুন - বাড়ি ফ⭕িরে ফেলে যাওয়া চ🦩েয়ারে বসে কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত
তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক হাজি নুরুল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি তিনি। সেই বছไরই বসিরহাট থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে হেরে যান। ২০১৬ সালে তাঁকে হাড়োয়া বিধানসভায় প্রার্থী করেন মমতা। জয়ী হন তিনি। ২০২১ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে ফের নির্বাচিত হন হাজি নুরুল।
আরও পড়ুন - সরকারি প্রকল্পের ১২০ কোটি টাকা দুর্ಞনীতির অভিযোগে, পুরপ্রধানকে সাসপেন্ড করল TMC
২০২৪ সালে সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে 🧔বসিরহাট কেন্দ্র থেকে কে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন তা নিয়ে যখন জোর জল্পনা চলছে তখন পরীক্ষিত হাজি নুরুলের ওপরেই ভরসা রাখেন মমতা। এমনকী ভোটপ্রচারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বসিরহাটে জিতে সন্দেশখালিতে যাব। বহিরহাটের প্রেসটিজ ফাইটে মমতাকে সসম্মনানে পাশ করিয়ে দেন হাজি নুরুল। যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত হাজি নুরুল সেভাবে প্রচারে বেরোতে পারেননি। প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ভোটের পরেও কলকাতা ও দিল্লিতে একাধিকবার ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে দত্তপুকুরের বয়রা গ্রামে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংসদ।