এখন ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে বাংলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জন জামাত–উল–মুজাহিদিন জঙ্গিকে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইতে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং তখন দু’জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা থেকে এসটিএফের একটি দল বীরভূম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তবে কেন তা🌃দের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি এসটিএফ ও জেলা পুলিশের অফিসাররা।
এদিকে ধৃত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়া–সহ হিংসার পথকে বেছে নিতে বলা হতো। আজ, শুক্রবার এই দু’জন জঙ্গিকেই রামপুরহাট আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে এসটিএফ। এই দুই জ𒁏ঙ্গিদের নাম শাহ ইমাম শেখ এবং আজমল হোসেন। এসটিএফ সূত্রে খবর, শাহ ইমাম শেখের বাড়ি বীরভূমের পাইকর থানার রুদ্রনগর গ্রামে। সে পেশায় দর্জি। আর আজমল হোসেনের বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার বানিওরের ܫকাছে চণ্ডীপুর গ্রামে। সে পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার।
আরও পড়ুন: নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে কোনও রাজ্যকে বাধ্য করা যাবে না, স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট
অন্যদিকে ধৃত আজমল হোসেনের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল–সহ নানা নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। দু’জন জঙ্গিই এই দেশের নিষিদ্ধ জামাত–উল–মুজাহিদিন জেহাদি সংগঠনের সদস্য। এদের দায়িত্ব ছিল মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রদ্রোহী, ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। তবে সবটাই করা হতো এনক্রিপটেড ভার্সনে। এসটিএফ সূত্রে খবর, আগে আজমল বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। সেখানেও জেহাদি কার্যকলাপে♚র সঙ্গে যুক্ত। এমনকী সঙ্গীদের নিয়ে বিস্ফোরক তৈরি এবং আগ্নেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚয়াস্ত্র জোগারের চেষ্টা করছিল।
তাছাড়া এপারে জঙ্গি সংগঠনের জন্য তরুণদের নিয়োগ করা এবং বাংলাদেশে পাঠানো এই কাজ ছিল দু’জনের। বিনিময়ে ওপার থেকে টাকা আসত। দু’দিন আগেই বীরভূমের নলহাটিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ধরা পড়ে। সেই কাজের সঙ্গে এই দু’জন জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই জঙ্গিদের গ্রেফতার করা নিয়ে এসটিএফের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং শাহ ইমাম শেখের। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেন𝓰দেন চলত। আজ রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হয়েছে’।