হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সেনা। পাল্টা একের পর এক কড়া জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বারবার পাকিস্তান ব্যর্থ হলেও দমেনি। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নানা জায়গায় গোলাগুলি চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। আর তার জেরে বারামুলা জেলার উরিতে পাকিস্তানের ছোড়া গোলার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। আজ, শুক্রবার আবার জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে সাম্বায় নিকেশ করা হয়েছে ৭ জঙ্গিকে। এই আবহে কলকাতায় কি হাই অ্যালার্ট জারি হবে? উঠছে প্রশ্ন। জবাব দিলেন নগরপাল মনোজ ভার্মা।
এদিকে তখন গাড়িতেই আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের ছোড়া শেল। তার জেরে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। তখন তাঁকে বারমুলায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও উরির কাছে রামপুরে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ জারি আছে। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা আসলে জইশ–ই–মহম্মদের সদস্য। সাতজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কলকাতায় প্রভাব পড়তে পারে কিনা তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই যুদ্ধের আবহে কলকাতায় হাই অ্যালার্ট জারি নিয়ে এবার বিবৃতি দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
আরও পড়ুন: ভারত–পাক যুদ্ধ আবহে নিরাপত্তা বাড়ল বিধানসভার, বাতিল হয়ে গেল সকলের ছুটি
অন্যদিকে আজ ভোর ৫টার সময় কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যে সময়ে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয় তখন জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর এবং অন্যান্য সেক্টরগুলিতে পাকিস্তানের সেনা পরপর মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল। আর এমন অবস্থায় কলকাতা কতটা নিরাপদ? জানতে চাওয়া হয় পুলিশ কমিশনারের কাছে। যার জবাবে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘এটা সেনসিটিভ ইস্যু। আমাদের প্রত্যেকদিনই মিটিং চলছে। এই নিয়ে নির্দিষ্ট অথরিটি আপনাদের সঠিক সময় জানাবে।’
এছাড়া পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, শিয়ালকোটে কড়া জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের অধীনে সমস্ত পাকিস্তানের ড্রোনগুলিকে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সুতরাং গোটা দেশে এখন যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে নগরপালকে পেয়ে কলকাতার সুরক্ষা, নিরাপত্তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার কথায়, ‘অযথা কেউ কোনও গুজবে কান দেবেন না। মনে রাখবেন, কলকাতা পুলিশ নিরাপত্তার প্রশ্নে সব সময় প্রস্তুত।’