পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলা সংগঠনে বিদ্রোহ দেখা গেল। আর তার জেরে বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্ধমান সাংগঠনিক জেলায় দলের অন্দরে এই বিদ্রোহ সামাল দিতে ব্যর্থ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সংগঠ🧸নের সহ–সভাপতির পর এবার আরও ১২ জন নেতা পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মণ্ডল সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব এবং জেলা কমিটির সদস্য আছেন। চলতি সপ্তাহেই সংগঠনের ভাঙন আরও চওড়া হতে চলেছে। কারণ বিদ্রোহীরা জেলা সভাপতির দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সামনে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন।🔴 সেখানে জেলা সভাপতিকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এই বিষয়ে সদ্য পদত্যাগ করা বিজেপি নেতা শ্যামল রায় বলেন, ‘জেলা সভাপতি একজন প্রোমোটার। রাস্তায় নেমে কখনও কাজ করেননি। তিনি সিপি💙এমের পরিবার থেকে এসেছেন। তাই সিপিএমের কায়দাতেই দল চালাতে চাইছেন। কিন্তু বিজেপির সংগঠন এভাবে চলে না। তাঁর নেতৃত্ব না মেনে অনেকেই পদ থেকে সরে আসতে চাইছেন। আমরা দলে আছি। উনি সরে গেলে আবার আমরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব।’
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি দ🃏লের শীর্ষ ন༒েতৃত্ব প্রতিটি বুথে কর্মসূচি করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে জেলা নেতৃত্ব কর্মসূচি নিতে পারছে না। ব👍হু কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন নেতার দাবি, জেলা সংগঠনে রদবদল না হলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে। আগামী দিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি দুই নেতার বাড়িতে গি♚য়ে দলের কয়েকজন হুমকি দিয়ে এসেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সংগঠনে রদবদল করা হলে সরাসরি তার প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে বলেই মনে করা হচ্ছে।