প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সিউড়ির গৃহবধূকে পরকীয়াতে লিপ্ত করে বিজেপি নেতা বলে অভিযোগ। সিউড়ির গৃহবধূ ওই যুবক নেতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়া সম্পর্কে। দু’জনের প্রণয় যখন চরমে তখন দেদার চলত সেক্স চ্যাট। আদানপ্রদান হতো অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়ো। গৃহবধূর সেই নগ্ন শরীরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন বিজেপি নেতা। অবশেষে গ্রেফতার হন বিজেপির এই বুথ সভাপতি। এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূমের সিউড়িতে। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে চ্যাট করে তাঁর নগ্ন ছবি তুলে রাখেন বিজেপি নেতা বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত সিউড়ির কড়িধ্যা এলাকার ব্রজের গ্রামের ১৯৯ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ। সিউড়ি আদালত তাঁকে ৫ দিনের পুꦚলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বিজেপির বুথ সভাপতি অভিজিৎ দাস গৃহবধূকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সেটা আর সম্ভব হয়নি। কারণ গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই গৃহবধূর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার। সেই সম্পর্কই গড়ায় পরকীয়া প্রেমে। তারপর থেকে ভিডিয়ো কলে কথাবার্তা শুরু হয়। এমনকী তৈরি হয় দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। অভিযোগ, তারপরই অভিযুক্ত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বধূর স্বামীকে পাঠিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন বিজেপি বুথ সভাপতি। তখনই গোটা ঘটনা সামনে আসে। সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সব অভিযোগ খতিয়ে𝕴 দেখছে।
অন্যদিকে এই বিজেপি নেতাকে ধরতে নাটকীয় কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ। বিজেপি নেতার দাবি মতো টাকা দেওয়া হবে বলে অভিজিৎ দাসকে ডেকে আনা হয় একটি জঙ্গলে। সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ আগে থেকেই ঘাপটি মেরে ছিল। অভিজিৎ আসতেই তাঁকে বমাল ধরা ফেলা হয়। শুধু এই একটা ঘটনাতেই বিজেপি নেতা অভিযুক্ত নন। পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে, এভাবে সেক্স চ্যাটে ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেল করার বহু ঘটনা আগেও রয়েছে। সেগুলি খত🏅িয়ে দেখা হবে বলে জানান তদন্তকারীরা। বধূর স্বামী প্রথমে বুঝতেই পারেননি এই অ্যাকাউন্টটি আসলে কার। তারপরেই সামনে আসে ৫ লক্ষ টাকা পাঠালে আর তাঁর স্ত্রীর নগ্ন শরীরের ভিডিয়ো কাউকে সে পাঠাবে না। ওই ব্যবসায়ী সাত–পাঁচ চিন্তা না করে সোজা চলে যান সিউড়ি থানায়। আর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মাঠে নামে।
আরও পড়ুন: মেয়রের সই জাল করে লক্ষাধিক টাকা সাফ করল প্রতারক, প্রতারণার প♕র্দাফাঁস পুলিশের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পরাগ ঘোষ, সিউড়ির আইসি দেবাশিস ঘোষের নেতৃত্বে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে ধরার জন্য জাল পাতা হয়। তাঁর মেসেঞ্জারে বলা হয় টাকা দেওয়া হবে। তাতে বিজেপি নেতা রাজি হয়। বিজেপি নেতাকে ধরতে পুলিশ বেশ কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে যায়। ঠিক সময়ে আসে কড়িধ্যার বিজেপির যুবনেতা অভিজিৎ দাস। পুলিশ চারদিক থেকে তাঁকে ঘিরে ধরে গ্রেফতার করে। সরকারি আইনজীবী তথা তৃণমূল 🌱কংগ্রেসের জেলা সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এসব কুকর্ম করা লোকজনকে বিজেপি আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।’