হাঁসখালি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েই বুধবার মাঝরাতে হাঁসখালি থানায় পৌঁছয় সিবিআইয়ের চার সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধি দল। সেখানে ৪ ঘণ্টা কথা হয় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাডি়তেও যেতে পারেন ওই প্রতিনিধি দল। ওই দলে রয়েছেন দুই মহিলা আধিকারিকও। সিবিআই প্রতিনিধিদল কেস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পুলিশের থেকে সংগ্রহ করে। কেস ডায়েরি হাতে নেন তাঁরা।সিবিআই সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই হাঁসখালি থানার কাছে এফআইআর–এর কপি চেয়েছিল সিবিআই। থানা সেই কপি ইমেল করে পাঠিয়েছিল। খুন, গণধর্ষণ, তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো গুরত্বপূর্ণ ধারায় অভিযোগ এনে মামলা শুরু করেছে সিবিআই। হাঁসখালি কাণ্ডের পর যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল? গত শনিবার হাঁসখালির ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। এই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালার বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছিল ওই নাবালিকার। এই ঘটনার প্রমাণ লোপাট করার জন্য রাতারাতি তার দেহ দাহও করা হয়। মৃতার বাবা অভিযোগ করেন, তাঁর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি। এই ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। তারপর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাতে নিল কেস ডায়েরি।