বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ দিন ধরে চলছে ছাত্র–আন্দোলন। যার জেরে ‘গৃহবন্দি’ উপাচার্য। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তারপরই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। একইসঙ্গে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ রাখা যাবে না। এই নির্দেশিকার পরই বেতন–পেনশনও দেওয়া হয়। আজ থেকে বিশ্বভারতী স্বাভাবিক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।ছাত্র আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়। স্থগিত হয়ে যায় ভর্তি প্রক্রিয়া এবং ফলপ্রকাশও। এমনকী সরাসরি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে যে আন্দোলন চলছে তা ‘রাজনৈতিক’ মদতপুষ্ট বলে অভিযোগ। বাড়িতে খাবার এবং জল পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসন বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক–অধ্যাপিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এমনকী সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন। তার প্রতিবাদে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবন ঘেরাও করে ছাত্র আন্দোলন চলছে।এই আন্দোলন শুরু হতেই সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশকে মেইল করে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলে জানান উপাচার্য। তারপর সেখানে ব্যানার লাগাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হন কয়েকজন ছাত্রী। তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে বিশ্বভারতী বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল তা ভালভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সেখান থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না কেন্দ্রীয় অফিস।