ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। আর বর্ষা আসা মানেই গ্রামবাংলা প্লাবিত হওয়ার ঘটনা। তবে অন্যান্য জেলায় সেই প্রবণতা কমানো গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এখনও প্লাবিত হয়। তার সঙ্গে ডিভিসি’র জল ছাড়া তো আছেই। এই পরিস্থিতি বদলাতে প্রয়োজন ঘাটাল⛎ মাস্টারপ্ল্যান। আর এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র– রাজ্য টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। তবে এবার নতুন করে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান আশার আলো দেখাচ্ছে। নবান্ন সূত্রে👍 খবর, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণে দ্বিতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।
কেমন করে আশার আলো মিলল? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়নে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যা♉ন্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’ এই প্রকল্পের অধীনে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আসতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য রাজি থাকলে জানিয়ে দেওয়া হোক﷽। রাজ্য প্রস্তাবে সাড়া দিতেই আর্থিক অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ টাকা এবং রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা দেবে।
কত টাকা ব্যয় হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে? নবান্ন সূত্রে খবর, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ১২০০ কোটি টাকা খরচ ಌহবে। বিষয়টি র⛄াজ্যের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমনকী এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে বলেও কেন্দ্রকে জান🌱িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ দেব। তারপরই তিনি কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন।
কী করেছিল রাজ্যের প্রতিনিধিদল? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক এবং নীতি আয়োগে দরবার করেছিলেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তরে কথা বলেছিলেন তাঁরা। তার পরেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে আশার আলো দেখা যায়। এখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্♛রোগ্রাম কর্মসূচির অধীনে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাꦐস্তবায়িত হবে।