বিজেপির অন্দরে অন্তর্কলহ অব্যাহত রয়েছে। একের পর এক জেলায় সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে। নেতা, কর্মীরা দলছাড়তে শুরু করেছেন। সাংসদ–🌠বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে♏ যোগ দিতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমে ডামাডোল দেখা দিয়েছে। সদ্য বিদ্রোহ করেছেন দুধকুমার মণ্ডল। এবার আড়াই বছর বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন বীরভূমের নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। ফলে সংগঠন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকল।
ঠিক কী ঘটেছে নানুরে? আজ, শনিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন গদাধর হাজরা। আর কীর্ণাহারে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় তাঁর হাতে দলী෴য় পতাকা তুলে দিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিং। এমনকী সংগঠক গদাধর হাজরাকে কীর্ণাহার ২ পঞ্চায়েতের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ 🔜জানিয়েছেন।
আগে ঠিক কী ঘটেছিল? ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা♐। ২০১১ সাল♚ে তৃণমূল কংগ্রেস যখন প্রথম রাজ্যের ক্ষমতায় ꦏআসে তখন নানুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হন গদাধর হাজরা। আর ২০১৯ সালে গদাধর হাজরা এবং মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
কেন বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন বি♍ধায়ক? ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নানুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। তখন থেকেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল গদাধরের। বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। মোহভঙ্গ হল যখন রাজ্য নেতারা পাশে দাঁড়ালেন না। নানুর থেকে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছেন বিধানচন্দ্র মাজি। তখনই গদাধর তৃণমূল কংগ্রেসেꦐ যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। শনিবার গদাধর হাজরা ফিরলেন ঘাসফুলে।