তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অন্যতম লক্ষ্য শিল্পায়ন। তাই শিল্পে বিনিয়োগ টানতে অনেক ক্ষেত্র সরলীকরণ করেছে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করে রাজ্য সরকার। রাজ্যে শিল্পের জোয়ার নিয়ে আসতে শিল্পসমৃদ্ধ হাওড়া জেলার হ🅰ৃতগৌরব ফেরাতে নতুন করে শিল্পে বিনিয়োগ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার ৫ হাজার শিল্পে ৫ হাজার🔥 কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তার ফলে হাওড়ায় দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে পাঁচলা থেকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ, বৃহস্পতিবার পাঁচলায় একাধিক শিলান্যাস এবং প্রকল্প উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাওড়ায় শিল্পের জোয়ার এসেছে। হাওড়ার ৫ হাজার শিল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ৬৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া আরও শিল্পে ১১ হাজার ২০০𝓰 কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব রূপায়নের পথে। তাতে দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হাওড়াতে আবার হবে। এই জেলায় ৩০ হাজারের বেশি এমএসএমই ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। ২৭টি ক্লাস্টার চালু হয়েছে। এক লক্ষ মানুষ এই ক্লাস্টারগুলিতে কাজ করে। হাওড়া জেলাকে এমএসএমই হাব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল সেক্টরে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সহায়তায় দুটি পার্ক হয়েছে। আর দুটি পার্ক হবে। তাতে ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।’
এদিন হাওড়ার পাঁচলা মোড়ের জনসভা থেকে মোট ১৫ জেলার ৯০০ বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা—একাধিক ক্ষেত্রে নতুন ꦓপ্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। আর বলেন, ‘আজ ৯০০–র বেশি প্রকল্পের শিলান্যাস হল। দুয়ারে সরকারে ৯ কোটি দরখাস্ত এসেছিল। তার মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আজ ৬ লক্ষ মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছবে পরিষেবা। কোনও জেলা যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা। বনদফতরের জন্য ৩০০টি মোটরসাইকেল দেওয়া হꦐয়েছে। বলাগড়ে পর্যটন কেন্দ্র করা হয়েছে। সাগর হাসপাতালে নতুন ক্যানসার ভবন চালু হল। ২০৮টি পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে যাতে ২০২৪ ඣসালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। বানতলায় চর্মশিল্পের নতুন ৩টি ইউনিটে ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফুরফুরা শরিফে ১০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের নতুন নাম হয়েছে সবুজ সাথী। দেউচা পাঁচামি প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।’
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে এদিনও আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা 🌱কেন্দ্র দেয়নি। গরিব লোকের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা পড়ে আছে দেওয়া হয়নি। ফুড সাবসিডির টাকা কেটে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের টাকা কেটে নিয়েছে। রাজ্যের থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাজ্যের প্রাপ্য দিচ্ছে না। এল𒈔আইসি, ব্যাঙ্কের টাকা আদার ব্যাপারীর ঘরে চলে যাচ্ছে। আমার বাড়ি, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না।’