সদ্য ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সেখানে খড়গপুরে একটি ওয়ার্ডে জয়ী হন সিপিআই কাউন্সিলর। কিন্তু জিতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন খড়গপুরের একমাত্র সিপিআই কাউন্সিলর। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে ঘাসফুল শিবিরও। আর এই দলবদল করলে মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না বলে বার্তা দিয়েছে সিপিআই।ঠিক কী বলেছেন সিপিআই কাউন্সিলর? এদিন খড়গপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলর নার্গিস পারভিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষদের কথা ভাবেন। তিনি উন্নয়নের চেষ্টা করেন। আমি উন্নয়নের সঙ্গে থাকব। ওনার সঙ্গে সঙ্গ দিতে চাই।’ খড়গপুরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জিতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস এবং বিজেপি ৬টি করে ওয়ার্ডে জিতেছে। বামেরা দুটি ও নির্দল ১টি ওয়ার্ড জিতেছে। এখন কী বলছে সিপিআই? সিপিআই সূত্রে খবর, সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিনের জয়ের মার্জিন ৫ হাজারেরও বেশি। খড়গপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বামেদের গড় হিসেবে পরিচিত। এবার ৫২ বছর ধরে তারা এই ওয়ার্ডে জিতে আসছে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে যিনি সিপিআইয়ের হয়ে জিতেছিলেন, সেই শেখ হানিফ ফলাফলের পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এবার তৃণমূল নেতা শেখ হানিফের স্ত্রীকে হারান সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিন। এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইয়ের সহ সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট বলেন, ‘যাঁরা খড়গপুরে দলবদল করছেন মানুষ তাঁদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ গেলে মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না।’এই ঘটনা নিয়ে পাল্টা মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘উনি আমার কাছে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন। দলের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছি। নিশ্চয়ই দলে কাজের সুযোগ দেব। অন্তর্ঘাতের কোনও বিষয় নেই।’ এই কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সংখ্যা বাড়বে শাসকদলের।