আজ, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের আঠারো গাছিয়া জেটিঘাট সংলগ্ন চর ঘেরা জায়গায় বিশাল আকারের সামুদ্রিক কাঁকড়া ধরা পড়ে। এত বড় কাঁকড়া আগে কখনও দেখা যায়নি বলেই মৎস্যজীবীদের দাবি। এই নিয়ে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তাছাড়া এখন গরমকাল। এইরকম একটা সময়ে কাঁকড়া তো মেলেই না। যদিও বা মেলে সেটা আকারে ছোট হয়। কিন্তু এমন অস্বাভাবিক সাইজের হয় না। কিন্তু আজ এমন অস্বাভাবিক আকারের কাঁকড়া দেখা গেল পাথরপ্রতিমায়। আর এই বিশাল কাঁকড়া দেখতে এলাকা–সহ দিগম্বরপুর শৈলবালা মৎস্য আড়তে প্রচুর মানুষের ভিড় জমিয়েছেন।এদিকে আজ, শনিবার মৎস্যজীবী নটো খাঁ সহকারি মৎস্যজীবীদের নিয়ে দুর্গাখালি এলাকায় আঠারো গাছি নদীতে চর ঘেরায় জাল পাতে। আজ সকাল ৯টার দিকে সেই জাল ভারী হয়ে ওঠে। তখন সবাইকে ডাকেন মৎস্যজীবী নটো খাঁ। সবাই তখন ছুটে আসেন আর জাল তুলতে বলেন। তারপর নদী থেকে পাড়ে জাল তোলা হয়। তখনই সবার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। তবে এই বিশাল কাঁকড়া ডাঙায় উঠতে মাটির ভিতর ঢুকে যায়। মুহূর্তে আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি হননি ওখানে উপস্থিত মৎস্যজীবীরা। তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিকে এত বড় সামুদ্রিক কাঁকড়া নিয়ে আনন্দের মুহূর্ত অন্যদিকে ভয়ে কাটা মৎস্যজীবী নটো খাঁ। তিনি পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে সহকারি মৎস্যজীবীদের ডাকেন। কারণ ততক্ষণে কাঁকড়াটি মাটির গর্তে প্রবেশ করেছে। আর হয়তো পাওয়া যাবে না ভেবে ছড়িয়ে পড়ে মনে হতাশা। কিন্তু দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শেষমেশ সমস্ত মৎস্যজীবী মিলে গর্তের ভিতর থেকে কাঁকড়াটিরে বের করে আনতে সক্ষম হন। তারপর এই ২ কেজি ওজনের বিশাল কাঁকড়াকে দিগম্বরপুর শৈলবালা মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।আর কী জানা যাচ্ছে? তবে এই বিশাল সাইজ এবং ওজনের কাঁকড়ার দাম কত হবে সে বিষয়ে এখনও কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। এই বিশাল আকারের কাঁকড়াকে আড়ৎদারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এটা বাঘাযতীনে বিক্রির পরেই জানা যাবে কত টাকায় সেটি বিক্রি হল। তবে এত বড় কাঁকড়া ইতিপূর্বে এলাকার মানুষ দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। তবে মৎস্যজীবীরা দেখেননি বলে জানান সবাই। শীতের দিকে বা বর্ষার দিকে বড় কাঁকড়া পাওয়া যায়। কিন্তু তাও এত বড় সাইজ বা ওজনের নয়। কিন্তু গরমকালে এমন কাঁকড়া মেলায় চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।