দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর তার জেরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পাহাড়ে। কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই আবহে একাধিক রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও তারা এই বিষয়টিকে তুলে ধরে ফায়দা তুলতে চায়। কারণ, চলতি বছবে দার্꧋জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া হয়নি। পরীক্ষা এখানে বন্ধꦡ হয়ে গিয়েছে। পারিশ্রমিক মেলেনি শিক্ষকদের বলে অভিযোগ। আর তার জেরে শিক্ষকরা ‘অনলাইন’ ক্লাসও বন্ধ করে দিয়েছেন। সুতরাং এখানে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে পড়ায় শিক্ষা শিকেয় উঠেছে।
এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা অভিযোগ করেছেন, পাহাড়ের মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধোঁকা দিয়েছেন। পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। তারপরও ‘অনলাইন’ ক্লাস শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী দু’বছর প🎃ড়ুয়াদের ভর্তি করে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন। যদিও পাহাড়ের কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাং এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারকেই দুষে জানান, উপাচার্য নিয়োগ এখন♏ বিচারাধীন বিষয়। আচার্যের নিয়োগ করা অস্থায়ী উপাচার্যের বিষয়টির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আইনি লড়াই করছে। সব মিলিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল জমানায় সন্দ💞েশখালিই গলার কাঁটা, জ্যোতিপ্রিয় কতটা জড়িয়ে? প্রশ্নের মুখে সংগঠন
অন্যদিকে এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে সঠিকভাবে চলে তার জন্য চেষ্টা করছেন অনীত থাপা। তাঁর দলই পাহাড়ের শাসকদল। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান তথা🐬 জিটিএ–এর চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, ‘দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটিতে উপাচার্য নেই। টাকা চাইবে কে! উপাচার্য না থাকলে পঠনপাঠন থেকে প্রশাসনিক কাজ হবে না। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য দেওয়া হয়েছে। অথচ দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য বা স্থায়ী উপাচার্য দিলেন না রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। আমরা তাই উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’