একটা সময় ছিল উত্তরবঙ্গে ম্য়ালেরিয়া আর কলেরা এই দুই রোগের সঙ্গে কার্যত ঘর করতে হত বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। এরপর ক্রমে ডেঙ্গু, অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমের মতো রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। এইএসে প্রচুর রোগীর মৃত্যুর নজিরও রয়েছে। তবে এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের অধীনে রুরাল হেলথ রিসার্চ ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেল। নাইসেডের মাধ্য়মে এই প্রকল্পের কাজ চলছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়ালে।ঠিক কী ধরনের কাজ হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে?মূলত উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় রোগ সংক্রান্ত গবেষণা করবে এই ইউনিট। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উত্তরবঙ্গে মাঝেমধ্য়ে অজানা জ্বরের প্রকোপও দেখা যায়। কিন্তু এই জ্বর কেন হয়, এই ধরনের জ্বরের পেছনে মশার কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না সেটাও অনেক সময় বোঝা যায় না। আবার ফাঁসিদেওয়ার কাছে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে অতীতে। তবে এবার রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত এই ধরনের ইউনিট উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।এই ইউনিটের অধীন স্থানীয় স্তরে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই ১৫জন সদস্য়ের মধ্যে নোডাল অফিসার, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্য়াপক, ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ রিসার্চের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় স্তরে কোন কোন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা দরকার তা নিয়ে মতামত দিতে পারবেন।এদিকে অতীতে উত্তরবঙ্গে এইমস, নাইসেড মতো সংস্থার থেকে টিম এসেছিল। স্বাস্থ্য ভবন থেকেও একাধিকবার টিম উত্তরবঙ্গে ছুটে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও বার বার উত্তরবঙ্গে গিয়ে রোগের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তবে এবার উত্তরবঙ্গেই হচ্ছে রোগ নির্ণয়ের ইউনিট। মডেল রুরাল হেলথ রিসার্চ ইউনিটকে ঘিরে নতুন আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। এই ইউনিটে ইতিমধ্য়েই কয়েকজন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা, রোগ সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ চালাবেন। ধীরে ধীরে এই ইউনিটের পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হবে।