নারদ কাণ্ডে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে🃏র তিন নেতাকে নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্ꩵরী ফিরহাদ হাকিম, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
কেন্দ্রী🧸য় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর,🌜 আগেও আয়-ব্যয়, সম্পত্তি, অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই মূলত নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় তথ্য ইডির কাছে জমা দিতে হবে বলে সূত্রের খবর। লকডাউনের আগে এবং গত জুলাইয়েও নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ইডি কর্তারা।
তবে জুলাইয়ে ই-মেল মারফত যে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তা কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা ব🤪র্তমানে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যায়নি। কারণ হিসেবে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছিল, সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছেন শোভন। যিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়েছিলেন। সূত্রের খবর শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও সেই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। এছাড়াও নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় এবং আইপিএস অফিসার এস এইচ এম মির্জাও যাবতীয় তথ্য দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও ফিরহাদ দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইডির পাঠানো নোটিশকে বিজেপির ‘গেম’ বলে কটাক্ষ করেছেন ফিরহাদ।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে ম্যাথু স্যামুয়েল বলেছিলেন, ‘মুকুল রায়ের কাছে টাকা নিয়ে যাওয়ার পরে তিনি বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম এইচ সৈয়দ হোসেন মির্জাকে তা দিতে বলেন। আমি ও𒅌ই পুলিশকর্তাকে টাকা দিয়ে আসি।’ যে স্যামুয়েলের নারদ স্টিং অপারেশনে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি।