সাড়ে তিন বছর আজ, রবিবার পাহাড়ে পা রেখে নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন বিমল গুরুং। এদিন দার্জিলিং চকবাজারে তাঁর সভাকে ঘিরে জনতার উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুংপন্থী কর্মী–সমর্থকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমতো হﷺিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। আর এদিনের সভায় আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতি নিজের সমর্থন জাহির করার পাশাপাশি বিনয় তামাং–অনিত থাপা শিবিরের ꦚবিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন বিমল গুরুং।
সভামঞ্চ থেকে এদিন বিনয়–অনিতদের রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন গুরুং। তিনি এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে পাহাড় ছাড়তে হবে।’ যদিও ২৬ ডিসেম্বর পাহাড়ে পাল্টা পরিবর্তন ▨যাত্রার ডাক দিয়েছেন বিনয়–অনিত শিবির। অনিত থাপা সম্প্রতি বলেছেন, ‘পাহাড়বাসী কার সঙ্গে রয়েছে তা ২৬ তারিখই প্রমাণ হয়ে যাবে। বিমল গুরুংকে সেদিনই চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।’
এদিন ত্রিবর্ণ পতাকায় সেজে ওঠে দার্জিলিং চকবাজার। ব্যান্ড পার্টি, গান, নাচে যেন উৎসবের মেজাজ। কারণ, সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরেছেন বিমল গুরুং। এদিন সভামঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। বিমল গুরুং এদিন কর্মী–সমর্থকদের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য উদ্যোগী হতে বলেন। একইসঙ্গে তাঁরা জান🙈িয়ে দেন যে বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের দিন শেষ। এদিন মঞ্চ থেকে মোর্চার বিনয় শিবিরকে ‘ডুপ্লিকেট’ বলে কটাক্ষ করেন বিমল গুরুংয়ের অনুগামী নেতারা।