বাগুইআটি কাণ্ডে তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক রয়েছে। মূলত তার পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজকে হাতিয়ার করে এগোচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জ𝐆ানতে পেরেছে, প্রথমে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল অতনু দে-র এক বান্ধবীকে এরপর বাকি বন্ধুদেরও মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। সর্বশেষে তার পরিবারকে মেসেজ পাঠিয়ে সরাসরি হুমকি দিয়েছিল অপরাধী।
অতনুর বাবা জানিয়েছেন, ‘অতনুর এক বান্ধবীর 💙কাছে প্🍌রথম মেসেজ আসে। তারপর তার বাকি বন্ধুদের কাছে এবং পরে আমরা মেসেজ পাই। বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করি।’ অতনুর মামা গোরা বিশ্বাস আবারও পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, ‘মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়নি।’ পরিবারের দাবি যে নম্বর ✃থেকে মেসেজ এসেছিল সেই নম্বরে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরে। মেসেজে ছিল, ‘তোর ছেলের বডি পরশু নিয়ে নিস।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নম্বর থেকে গত ৩ সেপ্টেম্বর পরপর দুটি মেসেজ এসেছিল। মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস করে আসে গত ৫ সেপ্টেম্বর। 🦩অতনুর মা জানিয়েছিলেন তারা টাকা দিতে প্রস্তুত। সেদিনই তারা জানতে পারেন যে বসিরহাট মর্গে রয়েছে অতনুর দেহ। পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর অতনুর দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। সব মিলিয়ে পুলিশের গাফিলতির দিকেই আঙুল করেছেন পরিবার। অন্যদিকে, মেসেজের ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্পষ্ট যে অতনুর মৃত্যুর পরে মুক্তিপণ চেয়ে গিয়েছিল সত্যেন্দ্র।