পরিস্থিতি এককথায় ভয়াবহ। খানাকুলের বিভিন্ন গ্রামে রূপনারায়ণের ভাঙা বাঁধ দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে। গ্রামের মধ্যে কার্যত উঠে এসেছে নদী। আরামবাগ বন্দর, আরামবাগ গড়েরঘাট, পানশিউলি, গণেশপুর রাজ্য় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গ্রামের ভেতর অন্তত ১৫ ফুট জল। কিছুটা উঁচু রাজ্য় সড়ক সেখানেও ৪ থেকে ৫ ফুট জলের স্রোত বইছে। পঞ্চায়েত, বাজার, সরকারি ভবন সর্বত্রই জল ঢুকে গিয়েছে। খোদ পঞ্চায়েত প্রধান সমীর প্রামাণিক রাস্তার ধারে ত্রিপলের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন। বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে সেটাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি সহায়তাও তলানিতে। পুজোর আগে অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় গিয়েছে কেন্দ্রীয় উদ্ধারকারী দল। স্থানীয় গ্রাম থেকে একজন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ। এদিকে গোঘাটের ভাদুরেও দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। আরামবাগ শহরেও জল ঢুকে গিয়েছে। তবে এসবের মধ্যে আশার কথা দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে ১,১২,১০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। সন্ধ্যায় ছাড়া হয়েছিল ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল। তবে সেচ দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টি কমে যাওয়ায় জল ছাড়ার পরিমাণও ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে।