হঠাৎ চারজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গোপনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই চারজন নেতা বিরোধী দলনেতার সঙ্গে হোটেলে গিয়ে গোপনে বৈঠক করেছেন বল🔯ে অভিযোগ উঠেছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে এমন গোপন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও এই বৈঠকের কথা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। গোটা জেলায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আর তাই গোটা জেলায় আওয়াজ উঠেছে গদ্দার, মীরজাফর বলে। এই নিয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি যে আসন্ন সেটা বুঝতে পেরে﷽ছেন বিরোধী দলনেতা। কারণ বুথস্তরে সংগঠন নেই বিজেপির। সেখানে বিকল্প পথ অন্তর্ঘাতই সাফল্য এনে দিতে পারে। তাই এই গোপন বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাই চারজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের হোটেলে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক হয়েছে। আর তারপর এটা জানাজানি হয়ে যেতেই ওই নেতাদের বিরুদ্ধে গদ্দার, মীরজাফর সম্বোধন করে তমলুক শহর জুড়ে পোস্টার পড়েছে। যা আরও বিড়ম্বনা তৈরি করেছে। এমনকী ওই নেতাদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও করা হয়েছে।
কারা ওই গোপন বৈঠক করা নেতা? একুশে꧒রꩲ নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে পুরসভা নির্বাচন হয়। সেখানে দেখা যায় শুভেন্দুর ওয়ার্ডেই হেরেছে বিজেপির প্রার্থী। সুতর🦩াং সংগঠন যে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সেটা স্পষ্ট। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদলের চারজন নেতাকে হাতিয়ার করা হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতারা। শুভেন্দꦇু অধিকারীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করার নেতারা হলেন— তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক টাউন ব্লক সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া। তিনি তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর পদেও আছেন। ওই পুরসভার কাউন্সিলর কানাইলাল দাস, বিমল ভৌমিক এবং গৌতম পাল।
ঠিক কী লেখা আছে পোস্টারে? এদিন দেখা গেল জেলা জুড়ে নানা কথা লিখে পোস্টার পড়েছে। সেখানে নেতাদের নাম তুলে ধরা হয়েছে। আর লেখা হয়েছে, ‘এবার আওয়াজ তুলবে নতুন তৃণমূল। তাম্রলিপ্ত পৌরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া, কানাইলাল দাস෴, বিমল ভৌমিক, গৌতম পালরা আসলে কোন দলের? জবাব চাই জবাব দাও। মীরজাফর, চোর, গদ্দারদের দল থেকে দূর হঠাও।’ যদিও দলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘ꦡগোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ আর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন, ‘গোটা বিষয়টি দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখা হবে।’