‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই আন্দোলন চলাকালীন ২৯ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের সমস্ত থানা দখল করার পরিকল্পনা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো সেই আন্দোলনে যোগ দিয়ে তৎকালীন মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানা দখল করার চেষ্🉐টা করেছিলেন যতীন্দ্রনাথ দাসও। এমনকী সেই সময় তিনি গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন। গত বুধবার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই স্বাধীনতা সংগ্রামী। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের বামুনিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতেই তাঁর জীবনাবসান হয়েছে। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় প্রশাসনকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ওঠেনি। তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: 🍸আলিপুর মিউজিয়ামে খাবারের মেনুর নামকরণ স্বাধীনতা সংগ🐷্রামীদের নামে! বিতর্ক তুঙ্গে
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ভ🍌ালো ছিল না। তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৫ বছর। তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাস আগেই ম♈ারা গিয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন যতীন্দ্রনাথ দাস। স্কুলে পড়ার সময় থেকে তিনি বিপ্লবী ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভগবানপুর থানা দখলের ক্ষেত্রে একেবারে মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভগবানপুর থানা দখল অভিযানকে কেন্দ্র করে মিছিলে গুলি চালিয়েছিল ব্রিটিশরা। তাতে শহিদ হয়েছিলেন ১৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী। যতীন্দ্রনাথের মাথায়ও গুলি লেগেছিল। ফলে তিনি গুরুতরভাবে জখম হয়েছিলেন। তবে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হাসপাতালে ভর্তি করলে পরের দিন অস্ত্রোপচার করে তাঁর মাথা থেকে গুলি বের করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরে ধীরে-ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তাতে তিন বছর কারাদণ্ܫড হয়েছিল তাঁর। দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন আগেই তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।