রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পাহাড় সফর কাটছাঁট করে মঙ্গলবার কলকাতায় ফেরেন। তারপর বিমানবন্দর থেকে রিষড়ার চলে আসেন তিনি। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি রিষড়ায় পৌঁছন। নিজে পরিস্থিতি না দেখা পর্যন্ত স্থির থাকতে পারছিলেন না। তাই এই ঝটিকা সফর রাজ্যপালের। এখানে দু’দিন ধরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এখানে এসে তিনি শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের পাশাপাশি রে🌄ল পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার পর কড়া বার্তা দেন তিনি। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে তিনি যেꦺ আপোষ করবেন না সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
রাজ্যপাল হিসাবে বাংলায় আসার পর এই প্রথম কোনও ঘটনার প্রেক্𒁃ষিতে ঘটনাস্থলে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, মঙ্গলবার বিমানবন্দর থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে রাজ্যপালের কনভয় রওনা দেয় দক্ষিণেশ্বরের দিকে। তারপর বালি ব্রিজ পেরিয়ে ডান দিকে 🎃টার্ন নেয় বড়লাটের কনভয়। সেখান থেকে হিন্দমোটর হয়ে পৌঁছে যান রিষড়ায়। সোমবার রাতে যেখানে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছিল, সেই ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। গোটা পরিস্থিতির খুঁটিনাটি রাজ্যপাল জানতে চান। পুলিশ কমিশনারও তাঁকে রিপোর্টের আকারে বিস্তারিত জানান।
এদিকে রিষড়ায় অশান্তি যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ♊রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘মানুষের শান্তিতে বাঁচার অধিকার রয়েছে। যাঁরা স♚াধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করবেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না।’ রিষড়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল। তারপর রিষড়া স্টেশনে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।’ তবে রিষড়ায় রাজ্যপালের সফর নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘রাজ্যপাল সেখানে যাচ্ছেন, ভাল। তাঁর প্রশংসা করছি। উনি কড়া বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যও কড়া পদক্ষেপ করছে। বিজেপি উস্কানি দিচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করছেন না তাঁরা।’
অন্যদিকে রিষড়ায় গিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘গোটা পর♕িস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। দুর্বৃত্তদের হাতে আইন তুলে নিতে দেব না। বাংলার মানুষের অধিকার রয়েছে শান্তিতে থাকার। শান্তি ফেরানো হবে। দুবৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আমরা সবাই একসঙ্গে শান্তিরক্ষা করব। কেন্দ্র ও রাজ্যের আলাদা রাজনৈতিক কারণে যেন রাজ্যের মানুষ যেন অশান্তির মধ্যে না পড়েন। দুষ্কৃতীদের কোনওভাবেই ছাড়া যাবে না। বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সবরকম পদক্ষেপ করা হবে।’