দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন নাবালিকার বাবা-মা। অভিভাবকের মৃত্যুর পর দাদা ও দাদুর কাছেই থাকছিল নাবালিকা। বাড়িতেই সেই নাবালিকাকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল তার দাদু ও দাদার বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দাদু ও দাদাকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনা ঘিরে নরেন্দ্রপুর থানার কন্দর্পপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের শনিবার বারইপুর আদালতে তোলা হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগেই এক পথ দুর্ঘটনায় ওই নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই বাড়িতে তার দাদু ও দাদার সঙ্গে থাকছিল বছর ১২ বয়সী ওই নাবালিকা।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন দু’জন অভিযুক্ত মিলে নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে। তবে এতদিন ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি ওই নির্যাতিতা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভয়ে সারাদিন সিঁটিয়ে থাকত নির্যাতিতা নাবালিকা। পাড়ায় কারোর সঙ্গে তেমন মেলামেশাও করত না সে। তাকে সবসময় মনমরা হয়ে থাকতে দেখে, সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তার এই আচরণের কারণ জানার জন্যে বহুবার তাকে জিজ্ঞাসাও করেন পড়শিরা। নাবালিকার কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা জানার পর তাঁরাই নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত দাদা ও দাদুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে তড়িঘড়ি দুই অভিযুক্তকেই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।