ভর সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে ক’রে অপহরণ করে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার। হাবরা🐠 থানা এলাকার রাউতাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে দেগঙ্গা থানা এলাকার উত্তর বারুণি এলাকায়। এই ঘটনায় দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নাবালিকা বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা রাজ্যে ফের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নির্যাতিতা হাবরা থানা এলাকার রাউতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মালি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাড়ার দোকানে ডিম কিনতে বেরিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তখন র🌄াস্তায় তাঁকে আটকায় কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী। ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে দেগঙ্গা থানা এলাকার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের উত্তর বারুণি এলাকায়। সেখানে একটি পেঁপে খেতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। এর পর তাকে সেখানে ফেলে রেখে পালায়।
রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই ঋতু উৎসবের সূচনা হয়েছিল: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ওদিকে মেয়ে ফিরছে না দেখে খোঁজ শুরু করেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা। গভীর রাতে জানা যায় নাবালিকা উত্তর বারুণি এলাকায় পেঁপে ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর পর নাবালিকাকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতা෴লে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ দায়ের হয় দেগঙ্গা থানায়। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, ‘মেয়েকে নৃশংস নির্যাতন করেছে। অভিযুক্তদের কাউকে মেয়ে চেনে না।’ এই ঘটনায় র♏াজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, হাঁসখালির ঘটনার পরও কি এখনো রাজ্যে ততটাই অসুরক্ষিত নাবালিকারা।