হলদিয়ায় মা – মেয়েকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের। জেরায় পুলিশকে সে জানিয়েছে, রিয়ার সঙ্গে সহবাস করতেন তিনি। সেজন্য বিপুল খরচও করতে হত তাঁকে। তখনই রিয়ার মা রমা তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি তোলেন। গত বছর ৪ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে সেই সম্পর্ক চোকায় সে। তার পরও ১ বছরে মা – মেয়ের পিছনে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। তার পরও ছবি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা দাবি করছিলেন রমা। সেই থেকে বিবাদের জেরেই তাদের খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছেন, ২ বছর আগে তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় রিয়ার। তার পর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তখন বিয়ে হয়নি তাঁর। তাই রিয়াকে বিয়ে করার কথাও দিয়েছিলেন তিনি। দুর্গাচকের হাজরা মোড়ে একটি বাড়িভাড়া নেন সাদ্দাম। সেখানে তাঁর সঙ্গে এসে থাকতেন রিয়া। মাঝে মাঝে আসতেন রিয়ার মা রমাও। কখনো তাঁরা মন্দারমণি বা দিঘা বেড়াতেও যেতেন।কিন্তু কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন, ফেসবুকে নানা নামে প্রোফাইল খুলে ছেলেদের ফাঁসাত রিয়া। এর পরই সম্পর্ক ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর বিয়েও ঠিক করে পরিবার। তখন ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক চোকান সাদ্দাম। চুক্তি হয়, রিয়ার সঙ্গে তোলা তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি পাবে না কেউ।এরমধ্যে ১ বছরে রিয়া ও রমার পিছনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা তিনি খরচ করেছেন বলে দাবি করেছেন সাদ্দাম। তাঁর দাবি, তার পরও গোপন ছবি পরিবারের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা চাইছিলেন রমা।গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নব বারাকপুরের বাড়ি থেকে হলদিয়া আসেন রমা ও রিয়া। হাজরা মোড়ের ভাড়াবাড়িতে যান তাঁরা। সেখানেই আয়েসা দে নামে ফেসবুক প্রোফাইলে শেষ ছবি আপলোড করেন রিয়া। রাতে সেখানেই মদ্যপান করেন ৩ জন।সাদ্দামের দাবি, গভীর রাতে টাকা পয়সা নিয়ে ফের তাঁর বিবাদ বাঁধে রমার সঙ্গে। ততক্ষণে মদের নেশায় বেহুঁশ হয়ে পড়েছেন মা – মেয়ে। এরই মধ্যে নিজের সাগরেদদের ডেকে পাঠান স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাদ্দাম। তাঁদের সাহায্যে দুজনকে নিয়ে যান হলদি নদীর চরে। সেখানে পেট্রল ঢেলে জীবিত অবস্থাতেই জ্বালিয়ে দেন রিয়া ও রমাকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে উদ্ধার হয় দেহ।সাদ্দামের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।