প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তিনি বিজেপির তরফে প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এমনকী তিনি নাকি রাজনৈতিক জমি তৈরির জন্য় ইতিমধ্য়েই শিলিগুড়িতে চলে এসেছেন। রীতিমতো ঘুরেও বেড়াচ্ছেন এ পাড়া থেকে ও পাড়া। লক্ষ্য জনসংযোগ। কিন্তু হর্ষবর্ধনকে কি আদৌ মেনে নেবে পদ্মশিবিরের লোকজন?ইতিমধ্য়েই পাহাড় থেকে সমতল এনিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে ইতিমধ্য়েই কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা সরাসরি দাবি করেন এবার পাহাড়ে ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী করতে হবে। পাহাড়ের কাউকে প্রার্থী করার দাবিকে ঘিরে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। আর সেটা যদি না হয় তবে তিনি নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়ার হুমকি দিয়েছেন।বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, বছরের পর বছর ধরে বহিরাগতদের নিয়ে এসে পাহাড়ে প্রার্থী করা হচ্ছে। তারা জেতার পরে আর পাহাড়ের দিকে মুখও ফেরান না। এটা যেন একটা খেলার মাঠ হয়ে গিয়েছে।আর শিলিগুড়িতে বিজেপি শিবিরে হর্ষবর্ধনকে ঘিরে অনেকটা সেই অসন্তোষের ছবিই সামনে এল। হর্ষবর্ধন এলাকায় জনসংযোগ করলেন। কিন্তু সেখানে দেখা গেল না শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে।প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ষন শ্রীংলা। কিন্তু এলাকায় জনসংযোগ করতে এলেও হর্ষবর্ধনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছেন কে কোথায় জনসংযোগ করলেন সেটা তাঁর জানা নেই। তবে দল যাঁকে পদ্ম প্রতীক দেবে তিনি তাঁর হয়েই কাজ করবেন।তবে এখনও অবশ্য শঙ্করবাবু বর্তমান এমপি রাজু বিস্তের হয়েই ব্যাট ধরছেন। এমনকী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা যে শিলিগুড়ির বাসিন্দা এটা তিনি জি-২০ এর আগে জানতেন না বলেও জানিয়েছেন।তবে হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বিজেপির প্রার্থী হবেন কি না সেটা নিয়ে অবশ্য় এখনও গেরুয়া শিবিরের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে এনিয়ে নানা কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই জনসংযোগে নেমেছেন হর্ষবর্ধন। কিন্তু বিজেপি শিবিরের প্রশ্ন হর্ষবর্ষন কি আদৌ ভূমিপুত্র। এমনকী শিলিগুড়ি তথা পাহাড়ের বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক হর্ষবর্ষন শ্রীংলা সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজখবরও শুরু করেছেন।