🀅 দু’দিন আগে দিল্লি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই বিজেপি নেতারা এই রাজ্যে চাউর করতে শুরু করেছেন, এবার বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বাংলায় পা রেখে দাবি করেছেন, ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বাংলায় সমবায় নির্বাচনেই খাতা খুলতে পারল না বিজেপি। বরং দাপট দেখাল জোড়াফুল শিবির। এমনকী সমবায় সমিতির ১২টি আসনেই জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
꧑দিল্লি আর বাংলা যে এক বিষয় নয় সেটা একুশের নির্বাচন থেকেই টের পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। এমনকী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি পেরে ওঠেনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। সেখানে আপকে হারিয়ে দিল্লির মসনদ দখল করেছে বিজেপি। তখন থেকেই বাংলার প্রত্যেক জেলায় বিজেপি কর্মীদের আনন্দ উল্লাস দেখা গিয়েছে। সেই আবহেই রবিবার হয়ে গেল পান্ডুয়ার সিমলাগর ভিটামিন পঞ্চায়েতের পোটবা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বোর্ড অফ ডাইরেক্টর নির্বাচন। ওই সমবায়ের মোট ১২টি আসন। এখানে প্রার্থী দিয়েছিল বাম, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার সংখ্যা ছিল ৮৩৩ জন। আর ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা–মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি, যুযুধান দু’পক্ষের হল কথাও, কী হয়েছে?
কড়া পুলিশি প্রহরায় পোটবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল পর্যন্ত। নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয় গোটা ভোটগ্রহণ–পর্ব। আর এই গণনা শেষ হতেই দেখা যায় বাম ও বিজেপি প্রার্থীদের টিকিও নেই। একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জিতে গিয়েছেন। আর চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায়, সমবায় নির্বাচনের সব আসনেই জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা।𓃲 খাতা খুলতে পারেননি বাম এবং বিজেপির কোনও প্রার্থী। এই প্রথম পোটবা সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হল। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাতে আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
এই সমবায় সমিতির অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার প্রবীর পান্ডে জানান, চারটি বুথে সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ–পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এই সমবায়ে প্রথম ভোট হল। ১২ আসনে মোট ৩৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। আর জয় আসতেই পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন,ജ ‘সব আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম, বিজেপি একটি আসনও পায়নি। বাংলার বাইরে কী হয়েছে সেটা আমাদের বিষয় নয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যে পরিষেবা, প্রকল্প পৌঁছে দিয়েছে তার ফলে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ধারে কাছে আসতে পারবে না। এই ফলাফল তারই নজির। ভোটদাতাদের ধন্যবাদ জানাই।’