অত্যাধুনিক জার্মান প্রযুক্তির এলএইচবি কোচ যুক্ত করা হল দিঘা কাণ্ডারী এক্সপ্রেসে। এর ফলে যাত্রীদের রেলযাত্রা যেমন স্বাচ্ছন্দ্যের হবে, তেমনই ꦡতা অনেকটাই নিরাপদ হবে বলে মনে করছে রেল। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে অত্যাধুনিক এই কোচগুলিতে। ট্রেনের ভিতর চলাফেরার জায়গাও এই কোচে অনেকটাই বেশি।
এ๊র আগে দিঘা কাণ্ডারী এক্সপ্রেসে ১৭ টি কোচ ছিল। এখন তা বাড়িয়ে ১৮ টি করা হয়েছে। আসন সংখ্যা কমানো হয়েছে এই নতুন কোচগুলিতে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগে যেখানে কাণ্ডারী এক্সপ্রেসের প্রতিটি কোচে ১০০ টি আসন সংখ্যা ছিল এখন তা কমিয়ে ৮০ টি করা হয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেনের ভিতর চলাফেরা করার জায়গাও অনেকটাই বেশি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিকানের এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের কোচগুলি ছিল পুরনো আমলের আইসিএফ কোচ। সাধারণত এই কোচগুলি একে অপরের সঙ্গে স্ক্রু কাপলিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। তবে নয়া এই কোচগুলি একে অপরের সঙ্গে সিবিসিএস স্ক্রুয়ের মাধ্যম𓂃ে যুক্ত থাকে। যার ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই বগি একে অপরের উপর উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এর ফলে এই কোচগুলি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করছে রেল।
যদিও বিধিনিষেধ থাকার ফলে এক্সপ্রেসে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম হচ্ছে। তবে পর্যটনকেন্দ্র পুনরায় চালু হলে পর্যটকদের ট্রেন যাত্রা আরও আরামদায়ক হবে বলে মনে করছে রেল। কোচের ভিতর যেমন থাকছে আরামদায়ক সিট, তেমনই এই কোচগুলিতে বাথরুম রয়েছে অত্যাধুনিক। সব মিলিয়ে যাত্রীরা এই কোচে যাত্রায় স্বাꦰচ্ছন্দ্য উপভোগ করবেন বলে দাবি করেছে রেল।