সরকারি হাসপাতালে নিয়ম ভেঙে ইন্টার্নশিপ করছে বেসরকারি কলেজের নার্সিং পড়ুয়ারা। এমনই অভিযোগ উঠেছে কাঁথি মহকুমা হাসপ𝔉াতালে। তবে বেসরকারি কলেজের সঙ্গে কোনও রকমের কোনও চুক্তি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তা সত্ত্বেও কীভাবে বেসরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এভাবে প্রকাশ্যে সরকারি হাসপাতাল🃏ে ইন্টার্নশিপ করছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: স্নাতক স্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ, এর জন্যে মিলব𓆏ে মার্কস, বুঝে নিন UGC-র নিয়ম
জানা গিয়েছে, কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসকের পোশাক পড়ে এক যুবক হাসপাতাল চত্বরের ভিতরে ঢুকে বিভিন্ন রকম চিকিৎসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। শুধু তাই নয় হাসপাতালের খাতাতে সই করেছেন ওই যুবক। সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সৈয়দ ফেরদৌস। তিনি হাসপাত🍸ালের চিকিৎসকের ভাইপো। হাসপাতালের কেউ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি কীভাবে ভিতরে ঢুকছেন? কীভাবে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন? সরকারি খাতায় সই করছেন কীভাবে? তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের দইসাই এজি চার্চ ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হেল্থ ইনস্টিটিউটের নার্সিং পাঠ্যক্রমের পড়ুয়া। এই পাঠ্যক্রমটি রাজ্য সরকার দ্বারা স্বীকৃত নয়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ত𓆉রফে প্রচার করা হচ্ছে পড়ুয়াদের কাঁথি মহকুমা সহ একাধিক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে। তবে এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত কুমার দেওয়ান জানান, বহিরাগত কেউ যাতে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পরিষেবা দিতে না পারে সে বিষয়ে হাসপাতালকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।