সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে অনেককিছুই। সেই রাজাও নেই। আর সেই রাজপাঠও নেই। তবে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজোতে এখনও আড়ম্বর করেই হয়। তার সঙ্গেই অত্যন্ত ভক্তিভরে দেবীর আরাধনা করা হয় এখানে। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠ রাজবাড়ির 🍷৫০০ বছরের বেশি প্রাচীন পুজো এখনও নিজের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সেই প্রাচীন রীতি মেনে আজও পূজিতা হন দেবী। কনকদূর্গা নামেও তিনি পরিচিত। তবে অতীতের কিছু রীতি এখন আর মেনে চলা সম্ভব হয় না। বর্তমানে আর নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো সম্ভব হয় না। পশুবলির প্রথা অনেকদিন🔯 হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বিশাল আটচালার নীচে দেবীর আরাধনা করা হয়। কলকাতা থেকে দেবীর জন্য় লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি আনা হয়। লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ,গণেশের জন্য় অসম থেকে পোশাক আনা হয়। রাজবাড়ির প্রাঙ্গনেই তৈরি হয় প্রতিমা। ♓সেই প্রতিমার পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। সপ্তমীতেও যথাবিহিত নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনা করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির পুজোকে ঘিরে নানা কাহিনি প্রচলিত আছে। তখন জলপাইগুড়ি ঠিক এখনকার মতো ছিল না। চারপাশে জঙ্গল। তার মাঝেই পায়ে চলা পথ। শিশু সিংহ ও বিশু সিংহ নামে দুই ভাই এই পুজোর সূচণা করেছিলেন। দেবীর গ🌳ায়ের রঙ একেবারে তপ্ত সোনার রঙের। ঝলমলে বেনারসি পরেন দেবী। গলায় নবরত্ন খচিত হার। সারা অঙ্গে গহনা থাকে।
দেবীর জন্য় বিশেষ ভোগ থাকে। মহাসপ্তমী থেকে মহানবমী পর্যন্ত দেবীর ভোগে থাকে ক🅺াতলা, ইলিশ, চিতল ও ཧপাবদা মাছ। মাংস, নানা ধরণের ফলও থাকে। দশমীতে থাকে পান্তা ভাত। এটাই রীতি। সেই রীতি পালিত হয় আজও।