🤪 সন্দেশখালিতে তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা মহিলাদের নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে তিনি ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। তবে আপাতত এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারাকপুরে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এই দাবি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পুলিশ কি এসব দেখতে পাচ্ছিল না? না কি দেখেও চুপ করে ছিল?
♔আরও পড়ুন: মোদীর গুণকীর্তন করে নাটকের ফতোয়া, না মানলে বন্ধ অনুদান, দাবি ব্রাত্যের
♊ এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা টিভিতে দেখলাম! যে কথা ওরা বলছেন – রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করেই সভায় নিয়ে যায়। তবে রাতের বেলা পার্টি অফিসে ডাকা হচ্ছে এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ রেখেছি।
♎ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? না কি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বন্ধ করে ছিল?’
🦋আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে নাগরিক সমাজের মিছিল
💫 বলে রাখি, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি গিয়ে আক্রান্ত হন ED-র আধিকারিকরা। তাঁদের ওপর হামলা চালায় কয়েক হাজার দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় আহত ৩ ইডি আধিকারিককে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন আক্রান্ত আধিকারিকদের দেখে বেরিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমার একটা নির্দিষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। যাঁদেরকে মারার জন্য লেলিয়ে দেওয়া হল তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? তাঁরা অন্য কোনও জায়গা থেকে নৌকা করে ভারতবর্ষে ঢোকেননি তো?’