কামারহাটি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল একদল দুষ্কৃ𒆙তী। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে এই শুটআউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্রে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম আসিফ ওরফে কাল্লু। তাঁকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর অবস্থা অবনতি হলে দক্ষিণ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসিফের হাতে ও পা গুলি লেগেছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ দুপুরে কামারহাটির ষষ্ঠীতলা এলাকায় দু’তিনজন দুষ্কৃতী আসিফ ওরফে কাল্লুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর হাতে ও পায়ে গুলি লাগে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মদন মিত্র। ষষ্ঠীতলা এলাকার রাস্তা দিয়ে আজ হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। মোটরবাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী তাঁ🏅কে পিছন থেকে ধাওয়া করে। একের পর এক চারটি গুলি চালায়। দুটি গুলি গিয়ে লাগে কাল্লুর শরীরে। তাতেই রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসিফ। কী কারণে গুলি চলেছে সেটা এখনও জানা যায়নি। এলাক🎉ায় কাল্লু সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবে পরিচিত। রাজনৈতিক কারণেই কাল্লুকে গুলি করা হল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুটআউটের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়়িয়েছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসিফ মাটি🏅তে লুটিয়ে পড়তেই হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ এলাকায় মানুষের কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন যুবক আসিফ। সেটা হয়তো অন্য কোনও দল মেনে নিতে পারেনি। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই এই শুটআউট নিয়ে জোর গুঞ্জন🐓 শুরু হয়েছে। এমন একটা সময় এই ঘটনা ঘটল যখন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র নিজেই অসুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন। যুবক আসিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সাগরদত্ত হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শরীর থেকে গুলি বের করার জন্য অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরের সাধু–সন্ন্যাসীরা পেলেন আমন্🍰ত্রণ, রামমন্দির উদ্বোধনে মিলল আমন🦹্ত্রণপত্র
অন্যদিকে এই শুটআউটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত হিংসার ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। পুলিশ এই দুষ্কৃতীদের খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হাসপাতালে দালাল চক্রের পর্দাফাঁস করে দিয়েছ🥂িলেন। ওই দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার চালিয়ে ছিলেন। তার জেরেই এই ঘটনা কিনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।