ভোটে প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষকে ‘বেইমান’ বলেছেন কলকাতার তৃণমূল নেতারা। দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলেরই এক নেতা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জলপাইগুড়ি এসি - ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে আক্রমণ করে বলেন, দলের জেলা ও রাজ্য কমিটির এমন অনেক নেতা আছেন যাঁরা নিজের বুথে জিততে পারেন না।বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার বাংধামালিতে মহারাজ মেলার মাঠে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি সদর ২ ব্লকের বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখছিলেন কৃষ্ণবাবু। সেখানে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ। স্থানীয় বিধায়ক প্রদীপ কুমার বর্মা। তাঁদের সামনেই কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমি কলকাতা গিয়েছিলাম। সেখানকার নেতারা উত্তরবঙ্গের মানুষকে বেইমান বলেছেন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসার পর দেখা যাচ্ছে সারা রাজ্যে তৃণমূলের জয়জয়কার। কিন্তু উত্তরবঙ্গে ঠিক উলটো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখানকার মানুষ কি বেইমান? একদম না। বেইমান আমাদের কিছু নেতা। ’দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘ওরা সারা দুনিয়ায় বলে বেড়ায় আমি জেলা কমিটির সদস্য বা রাজ্য কমিটির সদস্য। কিন্তু নিজের বুথে দলকে জেতাতে পারে না। বাড়িতে মানুষ গেলে রেগে যায়। দূর ছাই করে তাড়িয়ে দেয়। তারাই দল চালায়। আর এদের দেখলেই মানুষ রেগে যায়।’লোকসভা নির্বাচনে গোটা উত্তরবঙ্গে মাত্র ১টি আসন জিততে পেরেছে তৃণমূল। কোচবিহারে জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এছাড়া আর কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধার করতে লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকে ময়দানে ঝাঁপিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার তেমন ফল পায়নি তৃণমূল।