ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘিরে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। আগামী মাসের গোড়াতেই শুরু হচ্ছে ছবি উৎসব। প্রতিবারের মতো এই বছরও ছবি উৎসবে অংশ নেবে দেশ-বিদেশের প্রায় ২০০টি ছবি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই বছর কিফে বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধি থাকবে না। হ্যাঁ, ওপার বাংলার কোনও ছবি প্রদর্শিত হবে না কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। যা দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মহলের কাছে বড় ধাক্কা। আরও পড়ুন-পাবলি♚ক ডিম্যান্ডে ২০২৫-এর পুজোয় বহুরূপꦛী পার্ট ২ আসছে? মুখ খুললেন ‘বিক্রম’ শিবপ্রসাদ
কেআইএফএফ-এর চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা দেখতে পারবেন না চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আগের বছরগুলোর চেয়ে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ভিসা জটিলতা তো আছেই। বাংলাদেশের সাম্প্ꦯরতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের কোনও ছবিই এই তালিকায় নেই।’
গত ২৮ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ৪৮তম কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশি প্রকাশকদের অন্তর্ভুক্তি না হওয়ার ঘটনার মাঝেই ফের মন খারাপের খবর। যা নিয়ে আগামি൲দিনে বিতর্ক যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী ৪ ডিসেম্বর থ♌েকে শুরু হবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০২২ সালে ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে, মুহাম্মদ কাইয়ুম রচিত ‘কুরা পাখির শুন্যে উরা’ ছবিটি সবচেয়ে বড় সম্মান জিতেছিল। উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে একমাত্র বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল এটি। এক কৃষক পরিবারের 🉐সংগ্রামকে ঘিরে আবর্তিত এই ছবি স্প্যানিশ ফিল্ম ‘আপঅন এন্ট্রি'র সঙ্গে ‘ইন্টারন্যাশন্যাল কম্পিটিশন অন ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজেস ক্যাটেগরিতে ‘গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার পুরস্কার’ ছিনিয়ে নিয়েছিল।
রেজওয়ান শাহ꧂রিয়ার সুমিত পরিচালিত আরেকটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র 'নোনা পানির কবিতা' ২৬তম কেআইএফএফ-এ এশিয়ান সিলেক্ট (নেটপ্যাক) পুরস্কার পেয়েছিল। গত বছরও রমরমিয়ে কিফে প্রদর্শিত হয়েছে বাংলাদেশি ছবি।
গোয়ায় জারি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টဣিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার এশিয়ান প্রিমিয়ার বিভাগে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র 'ডিয়ার মালোতি' অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন কিফের আরেক কর্মকর্তা। ভিসা জটিলতার কারণে কিফের এবারের আসরে বিভিন্ন সেশন ও কর্মশালায় প্যানেলিস্টদের তালিকায় বাংল🎃াদেশের কোনো অতিথি নেই।
'পদ্মা নদীর মাঝি' ও 'মনের মানুষ'-এর মতো ছবির পরিচালক গৌতম ঘোষ বলে𒅌ন, ‘আমরা আশাবাদী পরবর্তী চলচ্চিত্র উৎসবের সময় পরিস্থিতি আগের বছরগুলোর মত💖ো হবে।’