আজ সকালেই কৃষ্ণনগরের এক পুজো মণ্ডপের উলটো দিক থেকে উদ্ধার হয়েছিল অর্ধনগ্ন এবং অর্ধদগ্ধ এক তরুণীর মৃতদেহ। প্রাথমিক ভাবে সেই মৃতদেহটি কার, তা চেনা যাচ্ছিল না। তবে বেলা গড়াতেই দেহটি শনাক্ত হয়েছে। পরিবারের লোকেরা পুলিশের মর্গে এসে সেই দেহ শনাক্ত করে গিয়েছে। এদিকে তরুণীকে তাঁরই প্রেমিক ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: 'দেশ বিরোধী বলেই...' কানাডা ইস্যুতে বিস্♊ফোরক সাগরিকাকে নিয়ে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর)
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ জেলায় জ🔯েলায়, কতদিন চলবে এই মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুর▨ি?
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণী দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। দিদিমা ও মাসির কাছে থাকতেন তিনি। সেই তরুণী নাকি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। পরে খোঁজখবর করেও ওই তরুণীর সন্ধান মেলেনি। আর আজ সকালে উদ্ধার সেই তাঁর মৃতদেহ। পরিবারের দাবি, পাশের পাড়ায় এক তরুণের সঙ্গে প্রেম করত তাদের মেয়ে। মাঝেমধ্যে ওই তরুণের বাড়ি থেকেও যেত। (আরও পড়ুন: অনশ🔴নের মাঝে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে পদক্ষেপ সরকারের, কী বললেন দ🔥েবাশিসরা?)
আরও পড়ুন: মেয়ের ঘটনায় পুলিশই তথ্য প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছে🐎: আরজি করের নির্যা꧟তিতার মা
অভিযোগ করা হচ্ছে, আজ সকালে সেই প্রেমিকের বাড়ি গিয়েছেলিনে নির্যাতিতার দাদু। সেখানে তরুণীর খোঁজ করলে যুবকটি নাকি অসংলগ্ন🤡 কথাবার্তা বলে। অবশেষে পুলিশের কাছ থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধারের খবর পায় পরিবারের সদস্যরা। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় কুমার বলেন, 'দেহটি শনাক্ত করা গিয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সে সব প্রকাশ করা যাচ্ছে𒆙 না। বিকেলের মধ্যে সব কিছু পরিষ্কার করে জানানো হবে।'
এর আগে আজ রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সকালে কৃষ্ণনগর দেখা যায়, জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের 🐽ঠিক পিছনে আশ্রমপাড়া বারোয়ারির উল্টো দিকে তরুণীর দেহটি পড়ে ছিল। দেহটি অর্ধনগ্ন ছিল। এদিকে পরিচয় গোপনের জন্যে বা প্রমাণ লোপাটের জন্যেই হয়ত তরুণীর মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় ঘটনাটি জানানো হয়। দেহটি উদ্ধরা করে নিয়ে যায় পুলিশ। সেটিকে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়। এই আবহে মৃতদেহের পরিচয় জানতে বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। এলাকাবাসীর দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। অপরদিকে পুলিশের অনুমান মেয়েটিকে অন্যত্র খুন করা হয়েছে।