বেআইনী নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপুল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নাম জড়িয়েছে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের। এদিকে সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়েছেন গোপাল দলপতি নামে তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। বিগত দিনে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন বলে খবর। এবার একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন সেই গোপাল দলপতি। তিনি জানিয়েছেন, কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠাতে হবে, বলত কুন্তল । ক্যামেরার সামনে ঠিক কী বলেছেন গোপাল দলপতি?গোপাল দলপতি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে চিনতাম। কোনও টাকা আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিইনি। কুন্তল প্রসঙ্গে বলেন, আমার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। যখন অভাব পড়েছে কখনও ৭০ হাজার, কখনও ৩০ হাজার কখনও ১ লাখ টাকা দিয়েছে। অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল…হাত খরচার জন্য…সেই সময় তাপসদার কাজ দেখভাল করতাম। বলত প্রেসার দাও, ফান্ড যাতে তাড়াতাড়ি দেয়, সেকারণেই হয়তো টাকা দিত।দলপতি বলেন, তাপসদা নিয়ে গিয়েছিলেন। পরিচিত কয়েকজন বলেছিলেন যদি চাকরি বাকরি হয়। তখন কুন্তলের কাছে নিয়ে যায়। আমি দেখলাম নিয়োগের কাজগুলো ইতিমধ্যেই ও করেছে। নামপত্র নিচ্ছে। ও যে অ্যামাউন্ট বলল তা ওদেরকে (চাকরিপ্রার্থীদের) বললাম। ৬-৮ লাখ টাকা মাথাপিছু। কিন্তু ওরা কেউ টাকা দেয়নি।গোপাল বলেন, আমি কুন্তলের কাছে কয়েকবার বলতে শুনেছি কাকু কাকু। কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। কাকু কে জানতাম না। কালীঘাটের কাকুর কাছে যেতে হবে বলত। কাকু আদৌ কে, তা জানি না। বলত কাকুকে তাড়াতাড়ি পেমেন্ট করতে হবে। না হলে হবে না। দাদাকে বুঝিয়ে বলো পেমেন্ট করতে। ওটাই তো রহস্য কে এই কাকু। আমি নামটা জানি না। বললেন গোপাল দলপতি। ৯৪ লক্ষ টাকার প্রসঙ্গও আনেন তিনি।তার সঙ্গেই জানিয়ে দেন, আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম বদলে তিনি নথিপত্র বানিয়েছিলেন। সেবি যখন সব বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। দাবি গোপালের।কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল আর গোপাল দলপতি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইদানিং সামনে আসছে এই তিনটি নাম। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গোপাল দলপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিকে ইডি দফতরে নিজেই ফোন করেছিলেন গোপাল। এবার সেই গোপাল দলপতিই মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। তার সঙ্গেই এল চতুর্থ নাম, কালীঘাটের কাকু।এদিকে কুন্তল আগেই জানিয়েছিলেন,তাপস মণ্ডলের লোক গোপাল দলপতি। তিনি আমার কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়েছিল।