দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় সারারাত লোকাল ট্রেন চলেছিল। এই পরিষেবা পেয়ে মানুষজনও ভিড় জমিয়েছিলেন পুজোমণ্ডপে। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও রাতজুড়ে স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। সেই সিদ্ধান্তই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে পূর্ব রেল। জগদ্ধাত্রী পুজোয় মানুষ যাতে চন্দননগরে গিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে পারেন তা꧟র জন্যই অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি আমজনতা। গতকাল, শনিবার পঞ্চমী ছিল। এবার বাকি দিনগুলিতে ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের? পূর্ব রেল সূত্রে খবর, জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত চন্দননগর। এখানে থিম পুজো থেকে শুরু করে বড় বড় মণ্ডপ, প্রতিমাসজ্জা, আলোর রোশনাই সবই দেখতে পাওয়া যায়। আর তা দেখতেই অন্যান্য জেলা এবং কলকাতা থেকে বহু মানুষ এসে ভিড় করেন চন্দননগরে। তাই যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। হাওড়া শাখায় মোট ছয় জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। তার মধ্যে পাঁচ জোড়া লোকাল ট্রেন চলবে হাওড়া ও ব্যান্ডেলের মধ্যে এবং এ💟কটি চলবে হাওড়া ও বর্ধমানের মধ্যে।
কেমন হবে হাওড়া–বর্ধমান স্পেশালের সূচি? বিশেষ সূচি অনুযায়ী, হাওড়া থেকে মেন লাইনে আপ ট্রেন ছাড়বে রাত ১টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি বর্ধমান পৌঁছবে ভোর–রাত ৩টে ৫০ মিনিটে। এই ট্রেন ১ অক্টোবর থে🅷কে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত নয়া সূচি মেনে চলবে। আর এই ট্রেনটি ব্যান্ডেল স্টেশনে পৌঁছবে রাত ২টো ২০ মিনিটে। আবার বরꦍ্ধমান থেকে ডাউন ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০ টায়। যা হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবে রাত ১ টায়। এটা শুরু হবে ৩১ অক্টোবর থেকে। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ট্রেনটি ব্যান্ডেল স্টেশনে পৌঁছবে রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে। এছাড়া ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৬০৯৮৭ হাওড়া–মশাগ্রাম লোকালটি বর্ধমান পর্যন্ত চালানো হবে। এই ট্রেনটিই আবার মেন লাইনে স্পেশাল ট্রেন হয়ে আপে ফিরবে। বর্ধমান থেকে ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। ব্যান্ডেলে ঢুকবে রাত সাড়ে ১১টায়। আর হাওড়ায় পৌঁছবে রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে। তাই এই কদিন ৩৬০৮৮ মশাগ্রাম–হাওড়া লোকাল বাতিল থাকবে।