রাতে এক কথা বলা ꦛহচ্ছে। সকালে অন্য কথা বলা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে আবার অন্য কথা বলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় শিয়ালদা শাখায় লোকাল ট্রেন বাতিল নিয়ে পূর্ব রেলের তরফে এমনই ভিন্ন-ভিন্ন কথা শোনা গেল। মঙ্গলবার রাতে বলা হয়েছিল যে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা এবং শিয়ালদা-বারাসত-হাসনাবাদ শাখায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সকালে পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়, 'শুধু দক্ষিণ শাখা নয়, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় শিয়ালদা স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার ꦦরাতে কোনও লোকাল ট্রেনই ছাড়বে না।'
আজ সকালে পূ꧟র্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছিলেন যে রাত আটটা বাজলেই আর কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না শিয়ালদা স্টেশন থেকে। অপর প্রান্তের শেষ স্টেশন থেকে শিয়ালদাগামী ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। তারপর যে ট্রেনের যেমন সময় গন্তব্য পৌঁছানোর কথা, সেরকম সময়েই পৌঁছাবে। কিন্তু নতুন করে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না।
পরেই আবার সেই নির্দেশিকা পালটে গেল। বৃহস্পতিবার⛎ রাত এবং শুক্রবার মিলিয়ে শিয়ালদা শাখায় মোট ১৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল ൲করে দেওয়া হয়েছে। রাতের দিকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা এবং শিয়ালদা-হাসনবাদ শাখার যে ট্রেনগুলি আছে, সেগুলি চলবে না। শুক্রবার সকালেরও একাধিক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত শিয়ালদায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বাড়তি সতর্কতা
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মোটামুটি রাত ৮ টা থেকে শিয়ালদার দক্ষিণ শাখার কোনও ট্রেন ছাড়বে না (শিয়ালদা থেকে)। অপরদিকের প্রান্তিক স্টেশন থেকে মোটামুটি শেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ (কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা বেশিক্ষণ চলবে ট্রেন)। একই নিয়ম পদক্ষেপ করা হয়েছে শিয়ালদা-হাসন😼বাদ শাখার ক্ষেত্রেও। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ওই শাখাগুলির শেষ ট্রেন শিয়ালদা ও অপর প্রান্তের প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়বে, সেটার পুরো টাইমটেবি꧋ল দেখে নিন।
কেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
সেটার কারণ ব্যাখ্যা করে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, যখন ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র ল্যান্ডফল হবে, তখন যাতে ট্র্যাকে কোনও ট্রেন না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিয়ালদা এবং বিভিন্ন প্রান্তিক স্টেশন থেকে যে যে লোকাল ট্রেন ছাড়বে, সেগুলি মোটামুটি রাত ৯ টা থেকে ৯ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। আর ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা আছে রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের পরে। ফলে ঝড়-ঝঞ্ঝার সময় ট্রেনের মধ্যে যাত্রীদের আটকে থা൩কতে হবে না। ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে না যাত্রীদের।
কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকছে?
সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকাꦏল মিলিয়ে শিয়ালদা শাখায় বাতিল ট্রেনের সংখ্যাটা ১৯০ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আপাতত বা🌺তিল ট্রেনের কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি পূর্ব রেলের তরফে। কিন্তু নিজেদের প্রত্যেকের লাইনের ট্রেনের টাইমটেবিল দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে যে কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকছে।