কবে থেকে লোকাল ট্রেন চলবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না। তবে লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে সহমত প♌্রকাশ করল রাজ্য সরকার ও রেল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হল, নিশ্চিতভাবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। রাজ্যের সব সেকশনেই সেই পরিষেবা মিলবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু নিয়ে আজ (সোমবার) নবান্নে বৈঠকে বসেন রাজ্য সরকার ও রেল🌠ের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা যখন বৈঠকে 🌃বসেছিলেন, সেই সময় বিশেষ ট্রেনে ওঠার দাবিতে বৈদ্যবাটি-সহ বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন নিত্যযাত্রীরা।
ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে আলাপনবাবু বলেন, ‘রাজ্যে দ্রুত রেল চালাতে চায় সরকার। করোনাভাইরাস অতিমারীর কথা মাথায় রেখে ট্রেন চালাতে গেলে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে। সে ব্যাপারেই এদিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হল পূর্ব রেলওয়ে এবং⛄ দক্ষিণ–পূর্ব রেলওয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে।’ অর্থাৎ মুখে না বললেও আলাপনবাবুর কথায় স্পষ্ট যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রায় সাত মাস পর জনসাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত এক ঘণ্টার বৈঠকে নেও🐟য়া সম্ভব নয়।
তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালুর ভাবনা মোটামুটি ঠিক হয়েছে বলে এদিন জানান 🏅আলাপনবাবু। তাঁর কথায়, ‘সাধারণত একটি লোকাল ট্রেনে ১২০০ যাত্রীর বসায় জায়গা থাকে। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে তার অর্ধেক যাত্রী অর্ꦛথাৎ ৬০০ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলে সারাদিনে কটা ট্রেন চালানো🦹 যেতে পারে? পূর্ব রেলওয়ের চিফ অপারেশন ম্যানেজার জানান, রবিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলিতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ৯১৫ টি ট্রেন ও হাওড়া থেকে ৪০৭ টি ট্রেন চলে। আমরা প্রথমে এর ১০–১৫ শতাংশ ট্রেন দিয়ে চালু করব। তার পর কিছুদিনে সেই পরিমাণ ২৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি মেট্রো রেলের মতো ই–টিকিট ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে রেল এদিন জানিয়েছে।
পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এই দুটি রেলেই হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শহর ও শহরতলির যে সব স্টেশনে ট্রেন যায় সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখে ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করতে হবে। সে ব্যাপারে মুখ্যসচিব এদিন বলেন, ‘মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কিন্তু স্যানিটাইজেশন, থার্মাল স্ক্যানিং ও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে কীভাবে ট্রেন চালানো যেতে পারে তা এদিন রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে চায় রাজ্য। এই দু’দিনে ꩵসে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।’
কিন্তু ‘নিউ নর্মাল’ পরিস্থিতি কীভাবে চালানো হবে লোকাল ট্রেন। সে ব্যাপারে বৈঠকে উঠে আসা কিছু ভাবনা এদিন সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কোন রুটে কোন সময় কত সংখ্যক ট্রেন চালানো হবে সে ব্যাপারে একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে রেলকে। এমনও হতে পারে বেশিরভাগ ট্রেন গ্যালোপিন মাধ্যমে চালানো হতে পারে। অর্থাৎ ওই ট্রেনগুলি বেশ কয়েকটি কম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামবে না। ভিড় সামলাতে ও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার ব্যাপারে আরপিএফ ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে কীভাবে কাজ করবে তা নিয়েও ভ♎াবনাচিন্তা চলছে।