লটারি কেলেঙ্কারিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ২২টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১২.৪১ কোটি টাকা উদ্ধার করল ইডি। সেইসঙ্গে ৬.৪২ কোটি টাকা মূল্যের ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তরফে জানানো হয়েছে। যে পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঠিক কত টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা অবশ্য আজ নির্দিষ্টভা🌟বে জানানো হয়নি। ইডির তরফে শুধুমাত্র বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয় এবং পঞ্জাব-সহ ২২টি জ🅺ায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১২.৪১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। যে লটারি কেলেঙ্কারির তদন্তে আগেই তামিলনাড়ু থেকে ২৭৭ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ED-র নজরে কোন সংস্থা?
কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সান্ত🌠িয়াগো মার্টিন ও তাঁর সংস্থা ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারায় সেই তল্লাশি চালানো হয়। সেই অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নথি এবং বাজেয়াপ্ত নগদ ১২.৪১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। হদিশ মিলেছে ৬.২৪ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপꦬোজিটের। যা ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, যে ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে সেই অভিযান চালানো হয়েছে, সেই সংস্থার থেকে নির্বাচনী ൲বন্ডের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫৪০ কোটি টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ত𝓰ালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে। পেয়েছে ৫০৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে রাজ্যে ফিউচার গেমিংয়ের অফিস নথিভুক্ত আছে, সেই রাজ্যের শাসক দলের থেকেও বেশি অর্থ তৃণমূলকে দিয়েছে 'লটারি কিং'-র সংস্থা।
লেক মার্কেটের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত নগদ ৩ কোটি টাকা
এমনিতে গত শুক্রবার ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে একটি লটারি কেলেꦰঙ্কারি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কলকাতার লেক মার্কেট এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্🧸ধার করা হয়েছে নগদ প্রায় তিন কোটি টাকা। যে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা গুনতে ব্য়বসায়ীর বাড়িতে একটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়।
মধ্যমগ্রামের বাড়িতে ছাপা হত লটারির টিকিট?
ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের মাইকেল নগরের একটি বাড়িতেও বৃহস্প💃তিবার অভিযান চালানো হয়। যেটি একইসঙ্গে অফিস এবং গোডাইন হিসেবে ব্যবহার করা হত। সেখান থেকে কত টাকা পাওয়া গিয়েছে, সে বিষয়ে আপাতত ইডির তরফে নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লটারির টিকিটও পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে,꧋ যা ওই বাড়িতেই ছাপা হত বলে অনুমান করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।