নাগাড়ে বৃষ্টি এবং ডিভিসি’র জল ছেড়ে দেওয়ার জেরে এখন দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভেসে গিয়েছে বাড়িঘর থেকে শুরু করে খাবার সবকিছু। সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েছে গ্রামবাংলার মানুষজন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚনিজে গিয়ে গ্রামবাংলার অবস্থা দেখে এসেছেন। প্লাবিত এলাকার ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। এবার সেসব জায়গায় শিবির খুলে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিল ভ্রাম্যমান ‘মা ক্যান্টিন’। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘মা ক্যান্টিন’ শহর থেকে গ্রামে বেশ জনপ্রিয়। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিপদের দিনে বিনামূল্যে দুর্গতদের পাতে তুলে দেওয়া হল ডাল–ভাত–ডিম–সব🥃জি।
সাধারণত ‘মা ক্যান্টিন’ থেকে যে খাবার দেওয়া হয় তার জন্য দিতে হয় ৫ টাকা। তাতে গরম ডিম–ভাত পাওয়া যায়। কিন্তু যেহেতু জোড়া নিম্নচাপের প্রভাবে নাগাড়ে বৃষ্টিতে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ভেসে গিয়েছে বনগাঁ পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় পুরসভার ৭, ১৫ ,২০ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ড–সহ নানা নিচু ভেসে গিয়েছে। এমনকী বহু পরিবার ত্রাণ শিবিরে গিয়ে পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেক পরিবারে জলবন্দি হয়েই বাড়িতে আছেন। এবার সেসব দুর্গত মানুষজনের জন্য ‘মা ক্যান্টিন’ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রান্না করা গরম খাবার পৌঁছে দেও൩য়ার ব্যবস্থা করেছে বনগাঁ পুরসভা।
আরও পড়ুন: মেধা দেখিয়েই মেয়রের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন কালীচরণ, এই ব্যক্তির উত্থানের কাহিনী কেমন?
এই ব্যবস্থা অস্থায়ী। বন্যা পরিস্থিতির জন্য তা শুরু করা হয়েছে বনগাঁ থেকে। এবার অন্যান্য জায়গায়ও শুরু করা হবে বলে সূত্রের খবর। এই পরিষেবা সারাবছর মিলবে না। তবে প্🔯রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে তা মিলবে দুয়ারে। শনিবার এই 🦂ভ্রাম্যমান মা ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। বনগাঁ পুরসভা সূত্রে খবর, রেল কলোনি দীনবন্ধু নগর–সহ একাধিক এলাকার প্রায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে রয়েছে। তাঁদের ভ্রাম্যমান ‘মা ক্যান্টিনের’ মাধ্যমে দু’বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। খাবারের মেনুতে রাখা হয়েছে ভাত, ডাল, সবজি এবং ডিমের ঝোল।