মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে প্রশ্ন বিতর্ক রুখতে এবার পর্ষদের তরফ থেকে নয়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রত্যেকটা প্রশ্নপত্রে নির্দিষ্ট কিউআর কোড বসানো হয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র 'ফাঁস' হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের নেপথ্যে থাকা মোট ১৭ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাও বাতিল হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরাই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত। এই পরিস্থিতিতে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক কী বলছেন? প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা এবং তারপর ইতিহাস পরীক্ষাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রশ্নপত্র। এই আবহে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় এনায়েত হাইস্কুলের হেডমাস্টার বদিউজ্জামাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘MP 2024 QUESTION OUT’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা। (আরও পড়ুন: ❀গভীর রাতে নাটকীয় পরিস্থিতি, ডিএ আন্দোলনকে 'রানআউট' করতে গিয়ে 'হিটউইকেট' পুলিশ)
🍨একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনায়েত হাইস্কুলের হেডমাস্টার বদিউজ্জামাল জানান, এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হদিশ মিলেছিল। 'এমপি ২০২৪ কোয়েশ্চন আউট' নামক গ্রুপটি খোলা হলে দেখা যায়, সেখানে ১৫১ জন সদস্য আছে। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একাধিক অ্যাডমিন আছে। সেই গ্রুপে আবার কোনও এক কোচিং সেন্টারেরও নাকি উল্লেখ ছিল। এদিকে গত শনিবার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পরে পর্ষদের তরফ থেকে এই ধরনেরই একটি গ্রুপের উল্লেখ করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, চক্রান্ত করে প্রশ্ন ফাঁস করা হচ্ছে। তবে সবাই সব কিছু জেনেও কেন এই প্রশ্ন ফাঁস রোখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
♎উল্লেখ্য, সোমবার পরীক্ষার তৃতীয় দিনেও অব্যাহত থাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। গতকাল মাধ্যমিকে ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জেরে তিন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ। জানা যায়, প্রশ্নপত্রে এবার ব্যবহার করা কোডগুলি আবছা করে প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আজ ওই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে ফেলে। এই আবহে পর পর টানা তিনটি বিষয়ের পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
ꦏউল্লেখ্য, ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নপত্রের উপরেই কোডের ব্যবহার করা হয়েছে। যে কোডের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা যাবে। প্রশ্নপত্রের প্রত্যেকটি পাতায় এই কোডের ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোখা সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই প্রশ্ন ফাঁস ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন।