শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ, শনিবার দ্বিতীয় দিন। বাংলা পরীক্ষা হয়ে গিয়ে আজ হয় ইংরেজি পরীক্ষা। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা শুরু সম𒐪য়ই পশ্চিম বর্ধমানে অনুপস্থিত ছাত্রীর সংখ্যা ২৪৬ জন বলে অভিযোগ। আবার শুক্রবার প্রথম দিনের পরীক্ষায় মোট অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩৩। কেন এমন ঘটনা ঘটল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এই বিপুল পরিমাণ ছাত্রী পরীক্ষা না দেওয়া নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে শিক্ষা দফতর।
এদিকে কোনও পরীক্ষার্থীর অসুবিধা হলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এখনও অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে কেউ পরীক্ষা দিতে এলে তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তারপরও এত অনুপস্থিত ছাত্রী কেন? এই বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘২৪৬ জন ছাত্রীর সঙ্গে এদিন পরীক্ষা দেয়নি ৮৭ জন ছাত্র। পরীক্ষা শেষ হলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে আমরা প্রত্যেক স্কুলে খোঁজ নেব। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিতে হয়নি কোনও পরীক্ষার্থীকে। তবে পরীক্ষার্থীদে꧃র যতটা সম্ভব সাহায্য করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুতে তিনজন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছিল। যদিও তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সালানপুরের আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র হারাধন মুর্মু পরীক্ষাকেন্দ্রে আসে। সে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যায়নি। তার পরীক্ষার সিট পড়ে সালাপুরের কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলে। তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের নেতা অর্ধেন্🐓দু রায় আছড়া হাইস্কুলের🌃 সঙ্গে যোগাযোগ করে যজ্ঞেশ্বর স্কুলের অ্যাডমিট কার্ড আনিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তারপরেই পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্র।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের যা করার তা একজোটে করা উচিত’, মমতার মন্তব্যের জবাব দিলেন �💜�জয়রাম
এছাড়া আছড়ারই আর এক ছাত্র বাদল সূত্রধর অ্যাডমিট কার্ড না নিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে যায়। পরে তার বাবা অ্যাডমিট কার্ড সেখানে নিয়ে এলে পরীক্ষায় বসে বাদল। জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক জানান, আসানসোলের সেন্ট জোসেফ হাইস্কুলেরও এক ছাত্রের কাছে ছিল না অ্যাডমিট কার্ড। সেই অ্যাডমিট কার্ডও সঙ্গে সঙ্গে স্কুল থেকে নিয়ে আসা হয়। আসানসোল ও সালানপুরের দুই পরীক্ষার্থী রঞ্জনা রায় এবং বিবেক দাস জানায়, এত সকালে ঠান্ডা আর কুয়াশার মধ্যে তাদের যথেষ্🌠ট কষ্ট হয়েছে। পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দিলে ভাল হয়। কুয়াশায় সমস্যায় পড়েন অটো চালকরাও। এক অটোচালক ব𝓀লেন, ‘এমন কুয়াশায় ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বেশ ঝুঁকি নিতে হয়েছে।’