আজ, শনিবার মালদার ভূতনি এলাকায় ভাঙন দেখতে হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন একদল মানুষ তাঁর কনভয় ঘিরে গো–ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে আবার কালো পতাক📖া দেখান। তাতেই উত্তেজনা দেখা দেয়। এই ঘটনা দেখে বেশ বিরক্ত হন বিরোধী দলনেতা। এমনকী সাংবাদিকদের সামনে মেজাজ হারান। গো–ব্যাক স্লোগান তোলা এবং কালো পতাকা দেখানো মানুষজনকে কুকুর বলেছেন তিনি। ভূতনি সেতু কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় তৈ💖রি বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর রাজ্য সরকারের কোনও অবদান নেই বলে কটাক্ষ করেন। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে গো–ব্যাক স্লোগানের পোস্টার পড়ল মানিকচকের ভূতনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। আজ, শনিবার মানিকচকের ভুতনিচরের গোবর্ধন টোলা এলাকায় এই পোস্টার দেখা দিতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির পক্ষ থেকে সেবাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানেই আসেন শুভেন্দু। যে রাস্তা দিয়ে আজ বিজেপি বিধায়ক সভামঞ্চে আসেন ঠিক সেই রাস্তার বরাবর একাধিক জায়গায় পড়ে গো–ব্যাক স্লোগান লাগানো পোস্টার। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেউ গো🏅–ব্যাক স্লোগান দেয়নি। স্বাগত জানানোর লোকের সংখ্যা অনেক। আর ওগুলিকে তো হাজার টাকা দিয়ে ৪০–৫০ জন লোককে নিয়ে এসেছিল। হাতি যখন রাস্তায়🍃 যায় কিছু কুকুর পিছনে চিল্লায়।’
আরও পড়ুন: ‘ইমরানকে অন্ধকার কুঠুরিতে রেখে অত্যাচার করা হচ্ছে’, অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা
অন্যদিকে গো–ব্যাক স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীও সেদিকেই ইঙ্গিত করেন। কিন্তু ওই পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, বন্যার সময় কোথায় ছিলেন? এখন আপনি কেন এলেন? শুভেন্দু অধিকারী গো–ব্যাক। সৌজন্যে বানভাসি ভূতনিবাসী বলে পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে। যদিও শু﷽ভেন্দুর বক্তব্য, ‘এমন আচরণ কারা করছে সেটা পুলিশ বলতে পারবে। আমাকে ২০ হাজার লোক স্বাগত জানিয়েছে। আর ৩০টা লোককে পয়সা দিয়ে নিয়ে এসেছে। ৩০ টাকার চুল্লু আর হাজার টাকার ভাতা।’
এছাড়া মালদায় এসে নন্দীগ্রামের বিধায়ক একটি জনসভা করেন। তার আগে বন্যায় মৃত ১০ জনের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন। চার হাজার বানভাসি মানুষকে ত্রাণ তুলে দেন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেন জনসভা থেকে। তাঁর কথায়, ‘ভিক্ষা দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী যারা পার হচ্ছে তারা স্থায়ী সমস্যার সমাধান করতে চায় না। তাই চর এলাকার মানুষ সমস্যার মধ্যে আছেন। তৃণমূলের লোকেরা বলে ব্রিজ হয়ে গিয়েছে। ওটা ভারত সরকারের টাকায় তৈরি। ওসব গল্প বলে লাভ নেই। আপনাদের কোনও অবদান নেই ভূতনি চরে। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অবদান নেই। রাজ্য সরকারকে বলছি, স্কিম বানান। ৫০ লক্ষ টাকা যদি দেন তাহলে বাকি⭕ ৫০ ভাগ টাকা আনার জন্য দরবার আমরা করব।’