আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোদপুরে সেই নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তিনি মৃত চিকিৎসকের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। এর আগে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়া এবং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে ময়দানে নামলেন স্বয়ং মমতা। এদিকে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে এই মমালায় স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করেছেন মমতা। (আরও পড়ুন: ভাতার নামে ভাঁওতা, ডিএ নিয়ে 'গুলতাপ্পি' রাজ্য সরকারের, গুরুতর অভিযোগ কর্মীদ⛎ের)
আরও পড়ুন: 'রাতে একা সেমিনার হলে থাকা উচি🔯ত হয়নি' বলা RG কর🃏ের অধ্যক্ষ 'অপমানিত',দিলেন ইস্তফা
এর আগে রবিবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা। সেই সাক্ষাতের পরই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বিস্ফোরক দাবি করলেন। তাঁর অভিযোগ, মৃতার মা তাঁদের জানিয়েছেন, কেসটি ধামাচাপা দিতে পুলিশের এক উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক তাঁদের টাকা দিতে চেয়েছিলেন। ডঃ সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'নির্যাতিতার পরিবার ক্ষুব্ধ কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ফোন করে জানান মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন। সেটা ওঁরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি। নিশ্চয়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধামাচাপা দেওয়ার কোনও বিষয় রয়েছে। নয়ত ওরা কেন আত্মহত্যার কথা বলেছিল? শুধু তাই নয়, মৃতার মা এটাও বলছেন, পুলিশের একজন পদাধিকারী ওনাদের টাকা-পয়সা অফার করেছিলেন। যা শুনে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ধামাচাপা দেওয়ার না থাকলে টাকার অফার কেন করবেন? মৃতা মা এও আমাদের জানালেন, মেয়েটির তখন সৎকারও হয়নি সেই সময় টাকা পয়সা অফার করা হয়েছে। আর এখন বাড়ির লোক এই ঘটনাকে গণধর্ষণ বলে দাবি করছেন। এই ঘটনা একা করা সম্ভব নয়।' (আরও পড়ুন: হিন্দুদের আটকাচ্ছে BSF, এরই মাঝে ভারতে ঢুকল বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু সﷺম্প্রদায়ের ৪)
আরও পড়ুন: উঠেছে একা🐟ধিক জনের জড়িত থাকার অভিযোগ, এরই মাঝে আরজি কর কাণ্ডে ত൲লব ৪ জনকে
উল্লেখ্য, ট্রেনি চিকিৎসককে একাধিক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে 🃏রিপোর্ট থেকে। এই আবহে কীভাবে একবারও সেই তরুণী চিৎকার করলেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে অনেকেরই অনুমান, সঞ্জয়ের সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল। এই আবহে হয়ত কেউ একজন নির্যাতিতার মুখ চেপে ধরে রেখেছিল। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীর বিরুদ্ধে স্বভাবত যতটা প্রতিরোধ দেখানোর কথা ছিল, তরুণী তা দেখাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে দু'টো সম্ভাবনার কথা সামনে আসছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত, এবং সেই অন্য কেউ তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। অপরদিকে পুলিশ আপাতত অনুমান করছে, আগেই তরুণীকে খুন করা হয়, তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।